Also read in

সুপার ডিভিশনে জয়ের হ্যাটট্রিক অরুণাচলের, মাথা গরম করে হারলো তারাপুর এসি

রামানুজ গুপ্ত সুপার ডিভিশন ফুটবলে বুধবার জয়ের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করল অরুণাচল এস এস। ‌ এদিন এস এম দেব স্টেডিয়ামে তারা ৩-০ গোলে হারায় তারাপুর এসি কে। স্কোরলাইন দেখে হয়তো ভাবছেন সহজ জয় তুলে নিয়েছে অরুণাচল। ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক সেরকম নয়। ‌ ম্যাচটা জিততে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে অরুণাচল কে।

আসলে ৫৯ মিনিটে এক বিতর্কিত পেনাল্টি এদিনের ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এর আগে পর্যন্ত দারুন ডিফেন্ডিং করে যাচ্ছিল তারাপুর। ঠিক যেমন তারা ইন্ডিয়া ক্লাব ম্যাচে করেছিল। তবে বিতর্কিত পেনাল্টি কে কেন্দ্র করে মেজাজ হারিয়ে ফেলে তারাপুর। ম্যাচ হেরে এর খেসারত দিল দলটা।

ম্যাচের বয়স তখন ৫৯ মিনিট। বক্সের একেবারে মাথায় অরুণাচলের এক খেলোয়ারকে ফাউল করেন তারাপুরের জৈনিক ডিফেন্ডার। রেফারি আব্দুলমাজীদ চৌধুরী পেনাল্টির নির্দেশ দেন। তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায় তারাপুর। তাদের কথায়, ফাউল বক্সের বাইরে হয়েছে। ফলে এটা পেনাল্টি নয়। তবে রেফারি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। পেনাল্টি থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন থানজিক রংমাই। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় অরুণাচল।

এতটা সময় মাথা ঠান্ডা রেখে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছিল তারাপুরের ডিফেন্স লাইন। তবে পেনাল্টিতে গোল হজম করে যেন মাথা বিগড়ে যায় তাদের। এরই ফায়দা নেই অরুণাচল। ৬৮ মিনিটে স্কোর ২-০ করে দেন প্রণব দাস। মাথা গরম করে কিছুটা রাফ খেলতে শুরু করে তারাপুর। ৭১ মিনিটে তারাপুর এর গাইদামাই রংমাই বাজে ফাউল করেন থঙ্গাম লেনিন সিং কে। এই ফাউল কে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মাঠে। শুরু হয় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঠেলা ধাক্কা। এই ঘটনায় ম্যাচ বন্ধ থাকে প্রায় ৬ মিনিট। উভয় দলকে শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করতে হয় কোচিং স্টাফ সহ অফিসিয়ালদের। অবশেষে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ফের শুরু হয় খেলা। তবে এই ঘটনার রেশ যেন কিছুতেই কাটছিল না। ৮৬ মিনিটে তারাপুরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন থঙ্গাম লেনিন সিং। এই জয়ের সুবাদে সুপার ফোর নিশ্চিত করে নিল অরুণাচল।

 

 

তারাপুর ভালো ডিফেন্সিভ দল। মাঝমাঠটাও খারাপ না। তবে দলটিতে গোল করার মত লোকের অভাব রয়েছে। ‌ এছাড়া টেম্পারমেন্ট এর দিক থেকেও তারা অনেকটা পিছিয়ে। সেটা এদিন প্রমাণ হয়ে গেল।

Comments are closed.

error: Content is protected !!