রাঙ্গিরখাড়ি এলাকায় অবাধে চলছে ঝান্ডি মুন্ডা, বাড়ছে চুরি-ছিনতাই, নির্বিকার প্রশাসন
লক্ষ্মীপূজার পর থেকেই রাঙ্গিরখাড়ি সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ঝান্ডি মুন্ডা নামের জুয়া খেলা। স্থানীয়দের মতে, এলাকার বিভিন্ন নামি হোটেল সহ ছোট ছোট জায়গায় অবাধে বসছে এই জুয়া খেলার আসর। এসব আসর বসানোর ক্ষেত্রে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির মদত রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। সাহস যুগিয়ে অনেকেই এব্যাপারে পুলিশ তথা প্রশাসনের কাছে খবরটি পৌঁছে দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় না, ফলে বন্ধ হয় না এসব আসর।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই জুয়া খেলাটি অবৈধ? আইনত আমাদের সমাজে এধরনের জুয়া খেলা চলতে পারে না। তবে এর থেকে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে এই খেলায় জড়িত রয়েছে এলাকার অনেক দুষ্কৃতীরা। দুর্গাপুজোর আগে থেকেই শিলচর শহর তথা পার্শ্ববর্তী এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ইত্যাদির সংখ্যা বেড়েছে। প্রকাশ্যে মানুষের বাড়িতে ঢুকে লক্ষ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ডাকাতদল। এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে ঝান্ডি মুন্ডা সহ বিভিন্ন জুয়ার আসরের। হাইলাকান্দিরোড এলাকার একটি হোটেলে প্রকাশ্যে চলছে ঝান্ডি মুন্ডা, এমনটাই বলছেন এলাকাবাসীরা। লক্ষ্মীপূজার পর থেকে শুরু করে কালীপূজা এবং এর পরবর্তী সময়ে রাঙ্গিরখাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ঝান্ডি মুন্ডাকে কেন্দ্র করে প্রতিরাতেই প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হয়। এব্যাপারে পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ গেলেও কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়না।
সম্প্রতি এলাকায় বেশ কয়েকটি বড় ধরনের চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। অবশ্যই কোনও ক্ষেত্রেই পুলিশ সমাধানসূত্র বের করতে পারেনি, দুষ্কৃতীদের ধরা পড়া তো অনেক দূরের কথা। তবে অনেকেই মনে করছেন এই চুরি-ডাকাতি ইত্যাদির সঙ্গে জুয়া খেলার আসরের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের কাছে ঝান্ডি মুন্ডা আসরের কিছু ফটো এবং ভিডিও রয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে উদ্দাম জুয়া চলছে। পুলিশের একটি সূত্র মনে করে, এসব আসরের সঙ্গে ড্রাগসের সম্পর্ক থাকতে পারে, কেননা অনেকেই এসব সুযোগে নেশা করেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে অপরাধ মূলক কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পাবে।
সংবাদমাধ্যম তার কাজ করবে, এসব তথ্য প্রকাশ্যে তুলে ধরবে। তবে প্রশাসন যদি অবাধে চলা অবৈধ ব্যবসা বন্ধ না করে, তাহলে ভবিষ্যতে এলাকায় দুষ্কৃতীরা আরও সাহস পাবে।
Comments are closed.