জনগণের অনুভূতির কথা মাথায় রেখে ক্র্যাকারের উপর দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের জারি করা নিষেধাজ্ঞার পর্যালোচনা করা হবে: মুখ্যমন্ত্রী
২২ শে অক্টোবর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমগ্র রাজ্যে গ্রিন ক্র্যাকার ছাড়া অন্যান্য পটকা বিক্রি বা ফাটানোর ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তদুপরি, বোর্ড বাধ্যতামূলক করেছিল যে, ঐ পটকা শুধুমাত্র দীপাবলিতে রাত ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে ফাটানো যাবে। ছট পূজা, ক্রিসমাস, নববর্ষ প্রভৃতি অনুষ্ঠানে বাজি পটকা ফোটানোর জন্য ও সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল পর্ষদ।
এই নির্দেশ রাজ্যবাসীর একটি অংশকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং অনেকে হিন্দু ধর্মীয় উৎসবের সময় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জনগণের অনুভূতির কথা বিবেচনা করে একটি বিবৃতি জারি করেছেন যাতে লেখা হয়েছে, “আসাম দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, সরকারের সাথে কোনো পরামর্শ ছাড়াই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আতশবাজি বিক্রি এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেছে। আমরা এটি লক্ষ্য করেছি। মানুষের অনুভূতি মাথায় রেখে সামগ্রিকভাবে পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড হল একটি স্বায়ত্তশাসিত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা যা ২রা জুন,১৯৭৫ সালে পরিবেশ রক্ষা এবং প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জল (দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৯৭৫-এর ধারা ৪ এর বিধানের অধীনে গঠিত হয়েছিল। আসাম রাজ্যে জল ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ উল্লেখ করেছে যে, পটকা কোভিড থেকে বেঁচে যাওয়াদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বোর্ড নির্দেশ দিয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং কমিশনার/পুলিশ সুপারদের উপরোক্ত নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে দৈনিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এখন, আসাম সরকারের হস্তক্ষেপ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে কিনা তা দেখার বিষয়।
Comments are closed.