Also read in

শর্তসাপেক্ষে কোভিড রোগীকে ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর অনুমতি প্রদান করল আসাম সরকার

কোভিড রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এখন থেকে কিছু শর্ত পালন করে লক্ষণ বিহীন কোভিড রোগীকেও ঘরে থেকে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দিল আসাম সরকার।

আসাম সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রদত্ত শর্তগুলো হচ্ছে,

রোগীর শরীরে কোভিড সংক্রমনের কোন লক্ষণ থাকতে পারবে না। প্রাথমিকভাবে সুস্থ- সবল থাকতে হবে এবং দেহে কোনো ধরনের জটিল রোগ থাকতে পারবে না।

হোম আইসোলেশনে থাকা ঐ কোভিড রোগীর বাড়িতে ষাটোর্ধ্ব , অন্তঃসত্ত্বা বা হাই রিস্ক ক্যাটাগরির কেউ থাকতে পারবে না।

ঐ বাড়িতে থাকা সবাইকে চতুর্থ দিনে কোভিডের টেস্ট করাতে হবে।

রোগীকে যথেষ্ট বাতাস চলাচল করা আলাদা টয়লেট সহ ঘরে রাখতে হবে।

সম্পূর্ণ বাড়িকে ১৪ দিনের জন্য কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

ঐ রোগী যদি কোন অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় থাকেন তবে প্রতিবেশীদের যুক্তিসঙ্গত আপত্তি গ্রাহ্য করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে।

রোগীকে দেখভাল করার জন্য একজন লোক সব সময় থাকতে হবে।

একজন প্রাইভেট ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে যিনি রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন তা সশরীরে বা টেলিফোন বা ভিডিও কলের মাধ্যমেই হোক।

হোম আইসোলেশনে থাকার সময়ে ডাক্তারের সকল পরামর্শ মেনে চলতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি ও মেনে চলতে হবে।

রোগীর কাছে সবসময় পালস অক্সিমিটার এবং থার্মোমিটার রাখতে হবে। এবং তাপমাত্রা, পালসের রেট এবং অক্সিজেনের মাত্রা নির্দিষ্ট ব্যবধানে রেকর্ড করে রাখতে হবে। যদি অক্সিজেন সেচুরেশন ৯৫ শতাংশের কমে নেমে যায় তাহলে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

যেহেতু সরকারি এম্বুল্যান্স সব সময় ব্যস্ত রয়েছে কোভিড রোগীদের নিয়ে, তাই গৃহে আইসোলেসনে থাকা রোগীর জন্য সব সময় একটা গাড়ি প্রস্তুত রাখতে হবে যাতে প্রয়োজনে সাথে সাথে হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।

প্রয়োজনে যাতে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা যায় সে রকম ব্যবস্থা রাখতে হবে, তবে সরকারি হাসপাতালে ও ভর্তি হওয়া যাবে।

১৪ দিন হোম আইসোলেশন থাকা রোগী যার কোনো ধরনের জটিলতা দেখা যাবে না তাকে রাজ্য ডিসচার্জ বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে ডিসচার্জড ঘোষণা করা হবে।

অ্যানেক্সার-১ ফরম্যাট অনুযায়ী একটি ঘোষণা পত্র জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাছে দাখিল করতে হবে।

Comments are closed.