Also read in

কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দরেই তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে আটকে দিল পুলিশ, প্রতিনিধিদলের মারমুখী মেজাজে আহত পুলিশ কর্মী

তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে শহরে নাগরিক সভা করতে দেওয়া দূরে থাক, বিমানবন্দরে আটকে দিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ক্ষুব্ধ মমতা এই ঘটনাকে সুপার ইমার্জেন্সি বলে আখ্যায়িত করলেন। এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সরব ছিলেন। তারই নির্দেশে ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে আট সদস্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি সরেজমিনে যাচাই করতে শিলচরে এসে পৌঁছান।

প্রতিনিধিদল অভিযোগ করেছেন যে আসাম পুলিশ তাদেরকে বিমান থেকে নামার পরই ১৪৪ ধারা জারি থাকার বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করেছে এবং বিমানবন্দরে আটকে রেখেছে। এখানে উল্লেখ্য যে ইতিমধ্যে কাছাড় জেলা প্রশাসন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছেন যে, আসামে যেন রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। তৃণমূল সদস্যরা প্রশ্ন উত্থাপন করেন যে বাকি ৭১ জন যাত্রী যারা একই বিমানে এসেছেন তাদেরকে শহরে ঢুকতে দিয়ে এই জনপ্রতিনিধিদের কেন আটকে রাখা হচ্ছে!

 

অপর দিকে আসাম পুলিশ তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে পুলিশ আধিকারিকদের নিগ্রহের অভিযোগ করেছেন। প্রাপ্ত তথ্য মতে,একজন মহিলা পুলিশ আধিকারিক শম্পা দাস সহ সর্বমোট ৩ জন আহত হয়েছেন; তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়েছে । সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রতিনিধিদল এখনো বিমানবন্দরেই অবস্থান করছেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ ওদেরকে দুটো প্রস্তাব দিয়েছেন, ১) হয় তারা কোন একটা গেস্টহাউসে রাত কাটিয়ে সকালের বিমানে কলকাতা চলে যাবেন না হয় ২)আজকেই বিমানে গুয়াহাটি পৌঁছে সেখান থেকে কলকাতার বিমান ধরবেন কারণ গুয়াহাটিতে ও তাদেরকে জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হবে না যেহেতু সেখানেও নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। তবে প্রতিনিধিদল সারা রাত ধরে বিমানবন্দরেই ধর্না চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্ত জানিয়েছেন যে,কাছাড় জেলার কোথাও কোন ধরনের সেমিনার বা সভা করার ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না; কেউ অনুমতিও নেয় নি। তবে তিনি স্পষ্টতই বলেন যে কেউ যদি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে চায় তাহলে জেলা প্রশাসন কঠোর হাতে তা মোকাবিলা করবে।

Comments are closed.