আসাম বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করল মিলন দাসকে, পরবর্তী কার্যসূচী নিয়ে আজ সমাবেশ ছাত্রদের
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ছাত্র মিলন দাসকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে সর্বমোট সাতটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দু’বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হল। শুধু বহিষ্কারই নয়,৮ই তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত ঐ নির্দেশ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ায় মিলন দাসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক আজাহার (এফআইআর) ও দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ৯ই জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে নেশাগ্রস্ত সঙ্গী সাথীদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে সরকারি কর্মচারীদের আক্রমণ এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান; ভাংচুরের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ; বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে তাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার চেষ্টা এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ; উপাচার্যের চেয়ার ছুড়ে ফেলা, মহিলা ডাক্তারের সাথে অভদ্র ব্যবহার প্রভৃতি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ব্যাপারে আরও বিভিন্ন রিপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংস্থা এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আজ এক ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্র সংস্থার এক বরিষ্ঠ সদস্য বলেছেন, “এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মিলন দাসের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, তাকে ওয়ার্নিং দেওয়া যেতে পারত।”
Comments are closed.