Also read in

কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠক, পিছোতে পারে পরীক্ষা

এক সময় ছাত্র-ছাত্রীরা অফলাইন পরীক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের দাবি নাচক করে। ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় স্নাতক স্তরের পরীক্ষা এবং ইতিমধ্যে বেশ কিছু ছাত্র এবং শিক্ষক করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এদিকে রাজ্য সরকার ধীরে ধীরে শিক্ষাক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিধি নিষেধ চালু করতে শুরু করে দিয়েছে। এই কথা মাথায় রেখে আগামী সোমবার অর্থাৎ ৩ মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের অধীনে থাকা প্রত্যেক কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠক আয়োজন করেছেন। ৫ মে থেকে যেসব পরীক্ষা রয়েছে সেগুলো আপাতত পিছিয়ে দেওয়ার একটা সম্ভাবনা তারা দেখছেন। এই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেদিনই নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদোষ কিরণ নাথ এক নির্দেশনামায় জানিয়েছেন, ২৭ এপ্রিল যে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা ছিল সেটা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত কোনও পরীক্ষা নেই। এর আগে ৩ মে বৈঠক হবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৫ মে থেকে যেসব পরীক্ষা রয়েছে সেগুলো আপাতত স্থগিত রেখে কিছুটা পিছিয়ে নেওয়া যায় কিনা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে একা সিদ্ধান্ত নেবে না, ফলে প্রত্যেক কলেজের অধ্যক্ষদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে যখন ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিল সেই সময়ে একইভাবে কলেজের অধ্যক্ষদের ডেকে বৈঠক করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অফলাইন পরীক্ষা শুরু হয়। তবে একে একে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে গিয়ে পজিটিভ হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আগামী পরীক্ষাগুলো স্থগিত রেখে পরবর্তীতে সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।

এখন পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে, আগামীতে সরকারের তরফে বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। কাছাড় জেলায় গত তিনদিন প্রায় ১০০ জন করে পজিটিভ হয়েছেন। করোনার সংক্রমনের গতি অবশ্যই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ অধ্যক্ষদের মধ্যে বৈঠক এবং বৈঠকের সিদ্ধান্ত অবশ্যই আগে থেকে একটু আলাদা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Comments are closed.