
রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত করিমগঞ্জের মুফতি জামাল উদ্দিনের টেষ্ট নিগেটিভ, ছাড়া পেতে পারেন খুব শিগগিরই
অসমের প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি, করিমগঞ্জের মুফতি জামাল উদ্দিন সুস্থ হয়েছেন। প্রায় দশবার পরীক্ষার পর রেজাল্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে। এবার তার টেস্ট রিপোর্ট গুয়াহাটি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাকে সুস্থ বলে ঘোষণা করলেই শিলচর মেডিক্যাল কলেজ থেকে মুক্তি পাবেন তিনি। ২৯ মার্চ অসুস্থ অবস্থায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজে আসেন তিনি। ৩১ মার্চ সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় তিনি করোনা পজিটিভ। পাশাপাশি কর্কট রোগের আক্রান্ত মুফতি জামাল উদ্দিন। তিনি দিল্লির নিজামুদ্দিনে মরকজে অংশ নিয়েছিলেন।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি দিল্লি থেকে ফেরেন তিনি। এরপর বাড়িতেই ছিলেন, পরে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর বারবার তার লালা পরীক্ষা হয়েছে। এক সময় তার ক্যান্সারের লক্ষণগুলো চিকিৎসায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে হাসপাতালে ডাক্তাররা হাল ছাড়েননি এবং শেষ পর্যন্ত তাকে সুস্থ করেছেন। এর আগে কাছাড় জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সজিবুর রহমান শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
বরাক উপত্যকায় মোট চারজন ব্যক্তি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুধু হাইলাকান্দির আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ আক্রান্ত ব্যক্তি হচ্ছেন করিমগঞ্জের নজরুল ইসলাম। তার দুটি টেস্ট হয়েছে এবং তিনি এখনও পজিটিভ।
বরাক উপত্যকার প্রথম সুস্থ হওয়া ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা নিজে শিলচর এসেছিলেন। তিনি তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন আগামীতে যারা সুস্থ হবেন তাদের মুক্তি দিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত থাকবেন। জামাল উদ্দিনকে হয়তো আজ বিকেলেই শিলচর মেডিকেল কলেজ থেকে বিদায় দেওয়া হবে। তবে তারপরেও তাকে ১৪ দিন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তাকে কোন জায়গায় রাখা হবে এব্যাপারে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।
Comments are closed.