মেডিক্যাল কলেজ থেকে সদর থানায় নিয়ে আসা হল অতসীকে, 'তিন লক্ষ কালেক্সনের টাকা', বললেন তিনি
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রাত কাটানোর পর অতসী দত্ত তরফদারকে শিলচর সদর থানায় নিয়ে আসা হল। বড় অঙ্কের ঘুষ নিতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়েন কাছাড় জেলা নির্বাচন শাখার হেড ক্লার্ক অতসী দত্ত তরফদার। উল্লেখ্য, গতকাল আসাম পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার কর্মকর্তাদের একটি দল কাছাড় জেলা নির্বাচন শাখার কার্যালয়ে একটি অপারেশন চালায় এবং তরফদারকে ঘুষ নেওয়ার দায়ে আটক করে।
গতকাল তাকে প্রথমে নির্বাচন কার্যালয় থেকে শিলচর সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তিনি রাত কাটান। যদিও কেন তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তার কারণ জানা যায়নি।
তরফদারের ড্রয়ারে পাওয়া তিন লক্ষ টাকার ব্যাপারে মিডিয়ার পক্ষ থেকে আজ দুপুরে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখন নির্বাচনের সময় এবং এটি সংগ্রহের টাকা। অনেক বিক্রেতাই তাদের বিল গুলো ক্লিয়ার করার জন্য অপেক্ষা করছেন। এই তিন লক্ষ টাকা কি অন্যান্য বিক্রেতাদের কাছ থেকে পাওয়া ঘুষের টাকা? মিডিয়ার তরফ থেকে বারবার এ ধরনের প্রশ্ন উঠলেও তরফদার এর উত্তর দিতে অস্বীকার করেন।
শিলচর সদর থানার সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, পুলিশ স্টেশনের ভেতরে মহিলা সেলে অতসী দত্ত তরফদারকে রাখা হয়েছে। শিলচর তারাপুরের গণআওয়াজ প্রিন্টিংয়ের কর্ণধার সুজিত চন্দের কাছ থেকে অতসী দত্ত তরফদার ৯৫ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে চেয়ে ছিলেন এবং এটি না দিলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিল পাস করতে অস্বীকার করেছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সুজিত দাস আসাম পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই এই অপারেশন চালানো হয় এবং তরফদারকে ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয়।
Comments are closed.