Also read in

খাসি দুষ্কৃতিদের দ্বারা মালিডহরে কাছাড়ের জমি দখলের প্রচেষ্টা ভেস্তে দিলেন সচেতন নাগরিকরা

আসাম মেঘালয় আন্তঃরাজ্য সীমান্তের কাছাড় জেলার মালিডহরে জমি জবরদখলের চক্রান্তের প্রয়াসে এলাকায় প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিবরণে প্রকাশ, শুক্রবার শেষ রাত্রে মেঘালয়ের ‘হাঁম ল্যান্ড প্রটেকশন সেল’ নামক একটি খাসি সংগঠন মালিডহরে একই সাইন বোর্ড এবং একটি পিলার বসিয়ে যায়। ওই সাইনবোর্ডে রেলিং থেকে কুপলি পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মিটার অঞ্চলকে মেঘালয়ের জমি বলে দাবি করা হয়; সাইনবোর্ডে লিখা ছিল ‘ওয়েলকাম টু মেঘালয়’।

শনিবার সকালে মালিডহরের জনগণ এই সাইন বোর্ড ও পিলার দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কাছাড় জেলা প্রশাসন এবং কাটিগড়ার প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য সুব্রত চক্রবর্তীকে অবগত করান । সুব্রত চক্রবর্তী ওই স্থানে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্ত করেন এবং পরে কাছাড় জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে দুপুর দুটোর মধ্যে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

নিউ মালিডহর কার্বি পুঞ্জির হেডম্যান ব্লুংসিন দুরুং, সমাজ সেবী বরেন হানসে সহ এলাকার জনগণ জানান, দীর্ঘদিন থেকে অসমের প্রায় ৫ কিলোমিটার জায়গা জবর দখল করে রেখেছে মেঘালয় সরকার। ১৯৭৪ সনেও এনিয়ে সমস্যা দেখা দেয়, যখন বলেশ্বর নদীর মালিডহর সেতুর ওপর পর্যন্ত তাদের জমি বলে দাবি করে মেঘালয় সরকার। অসম প্রশাসনের খামখেয়ালিতে ৫ কিলোমিটার জায়গা মেঘালয় দখলে নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ফের মেঘালয়ের একটি চক্র কাছাড়ের প্রায় ৫০০ মিটার জমি তাদের বলে দাবি তুলে। তৎকালীন ফরেস্ট কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের তৎপরতায় বড়াইল পাহাড়ের নিম্নাংশ ‘বড়াইল ওয়াইল্ডলাইফ স্যানচুয়ারি’ ঘোষণা করা হয়। প্রায় চার বছর আগে মেঘালয় খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন কাছাড়ের জমি তাদের বলে ফের দাবি উত্থাপন করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিলে এলাকাবাসী তা উপরে ফেলে দেন।

শুক্রবারের ঘটনা আবার প্রমাণ করলো মেঘালয়ের কিছু সংগঠন সরকারের প্রত‍্যক্ষ মদতে জমি জবরদখল করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে, প্রশাসন এই সংবাদ পেয়ে নড়েচড়ে বসে এবং গুমড়া পুলিশ অনুসন্ধান কেন্দ্রের ইনচার্জ এলাকার জনগণের সহযোগিতায় বিতর্কিত সাইন বোর্ড ও পিলার তুলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করেন।

প্রশাসন বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে মেঘালয় সরকারের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এই আগ্রাসনের প্রয়াস বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে আবারো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে স্থানীয় জনগণ মনে করেন।

Comments are closed.