ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টা: স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ল আসাম রাইফেলসের জওয়ান
আসাম রাইফেলস’র এক জওয়ান স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত হাতেনাতে ধরা পড়ল, ধরলেন স্থানীয় জনগণ। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীকোনায়। জনতার হাতে ধরা পড়া জওয়ান শ্রীকোনার আসাম রাইফেলসের জওয়ান রাম সিং বলে জানা গেছে।
ঘটনায় প্রকাশ, মেয়েটি যখন টিউশনে যাচ্ছিল তখন রাম সিং নামের সেই জওয়ান তার দু তিন জন সঙ্গীর সঙ্গে মেয়েটির পথ আগলে দাঁড়ায়। বাজে ভাষায় তার সঙ্গে কথা বার্তা বলে এবং তার হাত ধরে টানাটানি করে। এরপর তাকে একটি অটোতে তুলে নেয় বলে ছাত্রীটি জানিয়েছে। মেয়েটা তখন চিৎকার করতে শুরু করে। চিৎকার শুনে আশপাশের জনগণ ওই স্থানে জড়ো হন এবং রামসিংকে পাকড়াও করেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়েটির বাবাও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জনগণ জওয়ানটিকে মারধর করতে উদ্যত হলে মেয়েটির বাবা বাধা দেন। এরপর যাতে পালিয়ে না যায়, সেজন্য তারা সবাই মিলে জওয়ানদের বেঁধে ফেলার চেষ্টা করেন।
এরই ফাঁকে আসাম রাইফেলসের এক বাস ভর্তি হয় প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ জন জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা সবাইকে মারধর করতে শুরু করে। রাজবীর সিং নামের একটি জওয়ান মেয়েটির বাবাকে মারধর করে বলে অভিযোগে প্রকাশ। পরে ঘটনাটি থানা পর্যন্ত গড়ায়। মেয়েটির বাবা পরমেশ শুক্লাদাস রাম সিং এবং রাজবীর সিংয়ের বিরুদ্ধে শ্রীকোণা পুলিশ থানায় এজাহার দায়ের করেন। দোষীদের কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য তিনি আবেদন জানান।
এদিকে নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে এ ঘটনাটির তীব্র ভাষায় নিন্দা জানানো হয়। তারা দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের জন্য শিলচর সদর থানায় লিখিতভাবে আবেদন জানান।এই এলাকায় প্রায়ই অসামাজিক কার্যকলাপ চলে বলে আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয়। এই অবস্থায় এর বিরুদ্ধে বিহিত ব্যবস্থা না নিলে সমিতি বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পা বাড়াতে বাধ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য বরাক উপত্যকায় শ্রীকোনাতে আসাম রাইফেলসের সবচেয়ে বড় ক্যাম্প রয়েছে, আগে এই ক্যাম্প মাছিমপুর সেনা ছাউনির ভেতরে ছিল। এই অবস্থায় ঘটনাটিকে ঘিরে এই এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্প বানিয়ে এই এলাকায় বসবাসকারী জওয়ানদের এধরনের অশালীন ব্যবহারে এই অঞ্চলের মেয়েদের নিরাপত্তা বিষয়ে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ঘটনাটির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করে দোষীদের শাস্তি প্রদানের আবেদন জানান জনগণ।
Comments are closed.