করোনাকালে উৎকৃষ্ট পরিষেবার জন্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পুরস্কার পাচ্ছেন বাবুল বেজবরুয়া
অসমে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল বরাক উপত্যকায় এবং সেই রোগীকে প্রায় ৪০ দিন রেখে সুস্থ করে তুলেছিল শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।তাছাড়া পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোর জন্য একটি ভরসার জায়গা হিসেবে কাজ করেছে হাসপাতালটি। পুরো প্রক্রিয়ায় দক্ষভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়া এবং তার সহযোগীরা।
এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্টস্ অ্যাপ্রিসিয়েশন পুরস্কার পাচ্ছেন ডাঃ বাবুল বেজবরুয়া। মঙ্গলবার পুরস্কারের কথা ঘোষণা হয়েছে এবং অধ্যক্ষ নিজেই কথাটি জানিয়েছেন।
তবে তিনি এই পুরষ্কারের কৃতিত্ব একা নিতে নারাজ। তিনি বলেন, “এই পুরস্কার বাবুল বেজবরুয়া পাননি, হাসপাতালের অধ্যক্ষ পেয়েছেন। তার অর্থ হচ্ছে হাসপাতালের প্রত্যেক ব্যক্তির কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কারটি এসেছে। প্রথম দিন থেকে প্রত্যেকে যে আত্মত্যাগ করেছেন, নিজেদের দায়িত্বের সীমানা পেরিয়ে পরিশ্রম করেছেন, এমনটা না হলে আমরা অবশ্যই এত বড় মহামারী মোকাবেলা এভাবে করতে পারতাম না। তাই আমি মনে করি, এই পুরস্কারের কৃতিত্ব শিলচর মেডিক্যাল কলেজে কাজ করা প্রত্যেক ব্যক্তির সমানভাবে প্রাপ্য। শুধুমাত্র শিলচর মেডিক্যাল কলেজ নয়, বরাক উপত্যকার প্রত্যেক মানুষকে আমি এজন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি, কেননা তারা প্রত্যেকে শক্ত মনে সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। আমার মতে এই পুরস্কার উপত্যকার প্রত্যেক ব্যক্তির কৃতিত্ব। তবে এখনও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যায়নি এবং ভ্যাকসিন আমাদের হাতে এখনও পৌঁছয়নি, তাই প্রত্যেক ব্যক্তিকে সচেতন থাকতে হবে, এটাই আমার বার্তা।”
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বরাক উপত্যকা সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যের কাছে সবথেকে ভরসার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
একের পর এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তারা। বিভিন্ন বিষয়ে যখনই সংবাদমাধ্যম তাদের দিকে আঙুল তুলেছে, তারা সেটা শুধরে নিয়ে এবং পরিস্থিতির উন্নতি করতে তৎপর হয়েছেন।
শুধুমাত্র আসামে নয়, সারা উত্তর-পূর্বে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং এর স্বীকৃতি হিসেবে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টস্ অ্যাপ্রিসিয়েশন খ্যাতি পেয়েছেন। এতে হাসপাতাল সহ জেলার প্রত্যেক মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত। প্রত্যেকেই হাসপাতালের অধ্যক্ষকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
Comments are closed.