মঙ্গলবার গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বদরপুরের বিধায়ক জামাল উদ্দিন আহমেদ, আজ বিকেলে জানাজা
বদরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কংগ্রেস নেতা জামাল উদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার রাতে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস সহ নানা রোগে ভুগছিলেন, স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল। মঙ্গলবার রাতে শরীর হঠাৎ করেই খারাপ হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, রাত আড়াইটে নাগাদ তার মৃত্যু হয়।
পরিবার সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বুধবার বিকেলে বদরপুরে তার জানাজা সম্পন্ন হবে।
২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন জামাল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে বিধায়ক থাকাকালীন কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। ২০১১ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে বদরপুর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বিধায়ক হন। পরবর্তী নির্বাচনে যখন বিজেপি সরকারে আসে, দেশে তখন নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক চলছে, সেখানে দাঁড়িয়েও তিনি বদরপুর থেকে তৃতীয়বারের মতো বিধায়ক হন।
তার মৃত্যুতে শোক ব্যক্ত করেছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেত্রী সুস্মিতা দেব। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে পরিবারের এক সদস্যকে হারিয়েছি, এই দুঃসময়ে যারা কংগ্রেস দলের আদর্শে রাজনীতি করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী নেতা ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে দলের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। আমি তার পরিবারের পাশে আছি তাদের সমবেদনা জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে যখন নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক চলছে, সেখানে দাঁড়িয়ে অনেক বড় বড় বিরোধী নেতারা বিফল হয়েছিলেন। অথচ জামাল উদ্দিন আহমেদ বদরপুর থেকে তার আসন রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। পরে যখন বিভিন্ন দলের নেতাদের মধ্যে দল পাল্টানোর হিড়িক পড়ে, তিনি কিন্তু কংগ্রেসেই ছিলেন এবং শক্ত হাতে দলের রাশ টেনেছেন। তার মতো নেতার মৃত্যু আমাদের কাছে অনেক বড় ক্ষতি।”
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকেল ৪ টা ১৫ মিনিটে তার নামাজে-জানাজা কালীগঞ্জে তার বর্তমান ঠিকানায় অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তার পরিবার-পরিজন সহ গুণমুগ্ধরা অংশ নিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ তার পুরনো বাসস্থান করিমগঞ্জের কোনাপাড়ায় রাখা হয়েছে।
Comments are closed.