Also read in

বাংলাদেশে পাড়ি দেওয়া মৌসুমী দাসের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিধায়ক শিলাদিত্যের - সন্দেহ বাংলাদেশ প্রশাসনের উপর ও 

ইতিমধ্যে সবাই জেনে গেছে নিখেঁজ হয়ে যাওয়া করিমগঞ্জের বাসিন্দা ২১ বছরের যুবতী মৌসুমী দাসের কথা। এটা জানা যে তাঁকে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। চার দিন আগে ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশ স্টেশনে দাঁড়িয়ে সে যে বক্তব্য রেখেছিল তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। দাসকে কিছু প্রশ্ন করা হয় ক্যামেরার সামনে এবং সে সবকটি প্রশ্নরই উত্তর দিতে থাকে। সে নিজের ইচ্ছায়ই বাংলাদেশ এসেছে বলে প্রকাশ করে এবং প্রতিবেশী দেশে এসে যে তার ভালো লেগেছে সেটাও জানায়। তার ভারতে ফিরে আসার কোনো ইচ্ছা নেই এবং তারা সুখী বৈবাহিক জীবন কাটাচ্ছেন। ভিডিওতে মৌসুমীকে মুসলিমদের ঐতিহ্যগত পোশাক বোরখা পরিধান করতে দেখা গেছে।ভিডিওটিতে সে হিন্দিতে কথা বলে যা মানুষের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি করছে, কেন একজন করিমগঞ্জের বাঙালি ঢাকায় বসে হিন্দিতে কথা বলবে । লক্ষণীয়ভাবে তাকে একই ভাষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল , হয়তোবা দুই পক্ষই বিষয়টিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধমে তুলে ধরতে চাইছিলো। আরেকটি বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসে যে মৌসুমি বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে অবৈধভাবে আগরতলা থেকে প্রবেশ করে ছিল । হোজাই সমষ্টির বিধায়ক শিলাদিত্য দেব আজ এই বিষয়ে সরব হন এবং অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন। তিনি বাংলাদেশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ও প্রশ্ন করেন “এটা কিভাবে সম্ভব যে পাসপোর্ট ছাড়া একটি ২১ বছর বয়সী ভারতীয় যুবতী অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে এবং দেশটির রাজধানীতে পর্যন্ত পৌঁছায় কিন্তু কেউ তাকে গ্রেফতার করে না।” তিনি আরও বলেন যে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত রয়েছে যা ভারতীয় মেয়েদের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে যায় এবং তাদেরকে ধর্মান্তরিত করে।

দেব ভিডিওর সত্যতা সম্বন্ধে বলেন যে এই ভিডিওতে মেয়েটি যে কথাগুলি বলেছে তা তাকে বাধ্য করা হয়েছিল বলতে যার সম্ভাবনা প্রবল। তিনি মেয়েটির সম্বন্ধে বলেন “সেও আরো অনেকেরই মতো পীড়িত। এটাও হতে পারে যে এই বাংলাদেশীগুলো ভারতীয় মেয়েদের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায় এবং আরবে বেঁচে দেয়।”

তিনি কেন্দ্রীয় সরকারেকে এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন যে ছয়টি জেলার ছয় মাসের সংগৃহীত ডেইলি ক্রাইম রিপোর্ট (ডি সি আর) অনুযায়ী ৯৫ শতাংশ জঘন্য অপরাধ যেমন ধর্ষণ, অপহরণ এবং খুন মুসলিমদের দ্বারা সংঘঠিত হয় যারা বেশিরভাগই বাংলাদেশ থেকে আগত ।

শিলাদিত্য দেব বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরিচিত কিন্তু তিনি আজ যে প্রশ্নগুলি উত্থাপন করেছেন সেগুলি অনেক মানুষই চিন্তা করার বিষয় বলে মনে করছেন এবং মৌসুমীর ঘটনাটি একটি নুতন মোড় নিতে পারে ।

Comments are closed.