Also read in

ছট পূজা : সমগ্র দেশের সাথে বরাক উপত্যকার নদীর ঘাট গুলোতেও পূণ্যার্থীর ঢল

 

ছটপুজোকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে বরাক উপত্যকার তিন জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী ঘাট গুলো। শিলচরের প্রধান নদী বরাকের অন্নপূর্ণা ঘাট, মধুরামুখ ঘাট, শিববাড়ি ঘাট এই উদ্দেশ্যে আলোকসজ্জা এবং কলাগাছ দিয়ে সুসজ্জিত করে তোলা হয়। ঘাটগুলোতে পুণ্যার্থী ছাড়াও দর্শকের ভিড় চোখে পড়ার মত ছিল। করিমগঞ্জের কুশিয়ারার বিভিন্ন ঘাট এবং হাইলাকান্দির ধলেশ্বরী, কাটাখাল তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় বিশেষত চা বাগান এলাকায় পুন্যার্থীর ঢল নামে।

 

মঙ্গলবার বিকেলে বৈদিক প্রথা অনুযায়ী পুজা পার্বন সেরে নদীর জলে দাডিয়ে আস্তাচলগামী সর্যদেবতার আরাধনায় মেতে উঠেন হিন্দি ভাষী ভক্তবৃন্দরা। সুর্যাস্তের প্রাক মুহুর্তে আস্তাচলগামী ভগবান ভাস্করকে ষষ্টী তিথিতে  দুধের অর্ঘ্য সমর্পিত করে এদিনের পুজোর সমাপ্তি ঘটে।

 

বুধবার সকালে একই ভাবে উদীয়মান সর্যদেবতাকে  অর্ঘ্য সমর্পিত করে চার দিবসীয় ছট মহা পর্বের সমাপ্তি ঘটবে। ছট পুজো উপলক্ষে সকাল থেকেই  সর্বত্র ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। পুজো উপভোগ করতে রীতিমত জনসমুদ্রের সৃষ্টি হয় নদীর তীরে তীরে। ছট মায়ের  আশির্বাদ পেতে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা ছুটেন নদীর তীরে তীরে। ৎহাইলাকান্দি জেলার চা জনগোষ্ঠী এলাকাগুলীতে ছট পুজোর উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে।ছট পুজাকে কেন্দ্র করে হাইলাকান্দির লালামুখ, গাগলাছড়া, লালাছড়া, বার্নারপুর, রুপাছড়া, ধলাই, মনিপুর, সুলতানী, ঘাড়মুড়া, কাটলিছড়া, আয়নাখাল, কৈয়া, লক্ষিনগর, সরসপুর, বার্নীব্রিজ প্রভৃতি বাগান বস্তি এলাকায় প্রবল উৎসাহ উদ্দিপনায় পালিত হচ্ছে ছটপূজা।

Comments are closed.