Also read in

আসাম কয়লা কেলেঙ্কারি: ৫ জন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করলো সিআইডি

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে বিধানসভায় দাড়িয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী রাজ্যে চলা কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে সিআইডি তদন্তের ঘোষণা করেন। তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর সিআইডি পাঁচজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে।

সার্কেল অফিসার: মঞ্জুর এলাহী বড়ভুইয়া, ইনকাম ট্যাক্স অফিসার: সজল দাস, ইনকাম ট্যাক্স ইন্সপেক্টর: অঞ্জন জ্যোতি বরা, এনফোর্সমেন্ট ইন্সপেক্টর শিলচর: বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য এবং বাবুল মণ্ডল, সহকারী ইন্সপেক্টর। এই পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তাকে সিআইডি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।

আমাদেরকে একটি সূত্র জানায় যে গত কয়েকদিন ধরেই এই পাঁচজন সিআইডির নজরে ছিল এবং তারা অপেক্ষা করছিল সঠিক সময়ের। তাই প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়ার পর সিআইডি কর্মকর্তাদের গুয়াহাটি অফিসে রিপোর্ট করার জন্য বলে। গতকাল কর্মকর্তারা সিআইডির গুয়াহাটি অফিসে পৌঁছান এবং তাদেরকে টানা নয় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর হেফাজতে নেওয়া হয়।সূত্রটি আমাদেরকে আরো জানায় যে সিআইডি অনেক বিতর্কিত নথিপত্র জব্দ করেছে।

আসামে কয়লা কেলেঙ্কারি দীর্ঘদিন থেকে চলছে এবং অভারলোডেড কয়লাভর্তি ট্রাকগুলি বরাক উপত্যকায়ও ঢোকে। তারা জিএসটি পরিবহন নির্দেশিকা উপেক্ষা করে এবং কখনও কখনও জাল জিএসটি চালান ব্যবহার করে। এই এলাকায় কয়লা পরিবহন সিন্ডিকেটের আওতায় ছিল, যা গত বছরের নভেম্বরে গঠিত হয়। এই অবৈধ কয়লা বাণিজ্য ডিসেম্বরে তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যায়। সেই সময়ই সংবাদমাধ্যম এই কেলেঙ্কারি রিপোর্ট করা শুরু করে এবং আসাম সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করাও শুরু হয়ে যায়।

এটা মনে করা হচ্ছে় যে এই অবৈধ কয়লা বাণিজ্য অনেক কোটি টাকার এবং কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই অনেক টাকা আয় করে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কথায় বলে “না হওয়া থেকে দেরি হওয়াটাও ভালো”। তাই সিআইডিকে ধন্যবাদ।

Comments are closed.