অসমিয়া ভাষায় কথা বলতে না পারায় হোজাইতে হয়রানির শিকার এক বরাকবাসী!
অসমিয়া ভাষায় কথা না বলার জন্য একজন ব্যক্তিকে ”হয়রানির শিকার’ হতে হয়েছে। তাও একজন মহিলা সহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা এই হয়রানির ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার দেখা গেছে।
সামাজিক মাধ্যমের ওই পেজ অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরের বাসিন্দা। গত ১৭ জুন সোমবার এনআরসির ভেরিফিকেশনের কাজে মুন্না গোয়ালা নামের ওই ব্যক্তি তার পরিবারের সঙ্গে হোজাই’র এনআরসি সেন্টারে যান।
এনআরসির ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তারা মুন্না গোয়ালাকে অসমিয়া ভাষায় কথা বলতে বলেন। হিন্দিভাষী গোয়ালা তখন জানান যে তিনি বাংলা এবং ইংলিশ জানলেও অসমিয়া ভাষা জানেন না। তিনি এনআরসি কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান যে অসমিয়া ভাষা জানাটা বাধ্যতামূলক কিনা। এ কথার উত্তরে কর্মকর্তারা বলেন যে আসামে থাকতে হলে অসমিয়া ভাষা জানা বাধ্যতামূলক।
এরপর গোয়ালা তাদেরকে এও জানান যে স্কুলে তার অসমিয়া ভাষা শেখার পরিসর ছিল না। তাই তিনি শুধু বাংলা জানেন। এই কথার পর কর্মকর্তারা গোয়ালার এনআরসির ভেরিফিকেশনের জন্য নিয়ে আসা যাবতীয় নথিপত্র উড়িয়ে ফেলে দেন বলে সামাজিক মাধ্যমের ওই পেজে বলা হয়।
এখানে উল্লেখ করা যায় যে সাড়ে তিন মিনিটের এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে গত কয়েক ঘন্টায় বারবার ফিরে এসেছে। প্রচুর সংখ্যক জনগণ এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং এই ঘটনার সম্পর্কে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
Comments are closed.