"সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকুন": বরাক উপত্যকাবাসীকে বজ্রপাত সহ ঝড়ের জন্য সতর্কীকরণ
‘কাল বৈশাখী ঝড়’ এর মৌসুম এসে গেছে এবং ঝড়ের তান্ডবনৃ্ত্যও চলছে। বরাক উপত্যকা তথা সমগ্র আসাম ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের কয়েকটি পর্বের সাক্ষী হয়েছে। আজ মিড ডে বুলেটিনে ভারতের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত আবহাওয়া বিভাগ দক্ষিণ আসামের বিভিন্ন অংশে বসবাসকারী মানুষের জন্য “সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকার” সতর্কীকরণ জারি করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়, ২১ এবং ২২ এপ্রিলে মেঘালয় ও আসামের বিচ্ছিন্ন স্থানগুলিতে বজ্রবিদ্যুত সহকারে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হবে। আবহাওয়ার মানচিত্রে দক্ষিণ আসামকে বিভাগ কতৃক কমলা রং দিয়ে সাজানো হয়েছে, যার অর্থ তাদের পরিভাষা অনুযায়ী “সতর্কতা (প্রস্তুত থাকার)” কথা বোঝায়।
সম্প্রতি ঝড়ের কারণে বরাক উপত্যকায় একজনের মৃত্যু হয় এবং ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের ফলে একটি বিশাল গাছ নিচে ভেঙ্গে পড়ে, গাছটি একটি বাড়ির উপরে এসে পড়ে এবং এর ফলে ৩৫ বছর বয়সী বৃষবালা দাশের জীবনহানি ঘটে। ঘটনাটি ঘটে ১৪ই এপ্রিল ২০১৮ তারিখে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিইও তার ঝড়ের রিপোর্টে জানিয়েছেন যে রংপুর তৃতীয় খন্ডের বাসিন্দা গাছ ভেঙ্গে পড়ার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন। মাছুঘাট, ছোট দুধপাতিল, রংপুর তৃতীয় খন্ড, সোনাপুর (কাটিগড়া), উধারবন্দ, সোনাই, কাটিগড়া, লক্ষিপুর এবং এর আশেপাশের এলাকা ঝড়ের জন্য প্রভাবিত হয়।
একই দিনে, করিমগঞ্জ জেলার রামকৃষ্ণনগরে বাজ পড়ে এবং একজনের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম সুধীর বৈষ্ণব বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি সূত্র আমাদের জানায় যে স্থানীয়রা ঘটনার পরই অবিলম্বে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে, কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আমাদেরকে জানানো হয় যে আরো চারজন বিদ্যুৎ ও বজ্রপাতের ফলে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন এবং এখন হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন।
আমরা মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি …
Comments are closed.