যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জানালেন,তাকে ফাঁসানো হচ্ছে
বরাক উপত্যকার আরও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠল। এবারের আঙ্গুল পাঠিনী এম ই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ শর্মার দিকে। এ ধরনের ঘটনা কিংবা অভিযোগ নতুন কিছু নয় বরাক উপত্যকায়। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন সুরেশ শর্মা হলেও তার আগে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজনের নাম ইতিমধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।
১৯৫৯ সালে স্থাপিত করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলটির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কিছু অভিভাবকরা। বাজারিছড়া পুলিশ স্টেশনে অভিভাবকরা এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তারা তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেন যে শর্মা ক্লাসে অধ্যায়নরত মেয়েদের হয়রান করেন। তিনি অশ্লীল এবং অস্বস্তিকর অঙ্গভঙ্গি এমনকি ছাত্রীদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা আজ স্কুলে জড়ো হন এবং সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারি ছড়া পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়।
পরে আমাদের সংবাদদাতার সঙ্গে কথা বলার সময় শর্মা বলেন যে তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।শর্মা আরো উল্লেখ করেন, তিনি ছাত্রদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে শাস্তি দিতে তাদেরকে মারপিট করেন। তবে কারো সাথে কখনো হয়রানি বা খারাপ ব্যবহার করেননি। “আমি নিশ্চিত যে আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যাবে না”, তিনি যোগ করেন।
এদিকে বাজারিছড়া পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। অফিসার আমাদের বলেন, “আমরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি।অভিবাবকরা বলছেন যে তিনি কিছুদিন ধরে মেয়েদের হয়রানি করছেন।তারা স্কুলেও এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এর পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাদের কাছে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না।”
স্থানীয় জনগণও অভিযুক্ত শিক্ষকের ব কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন। বাজারিছড়া পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে আজ আটক করলেও কাল তাকে কোর্টে পেশ করা হবে বলে জানা যায়।
Comments are closed.