Also read in

তলপেটে ব্যথায় মারা গেলেন কার্বি আংলংয়ে কর্মরত লক্ষীপুরের মেয়ে এসিএস বেমথই চানু

২০১৫ সালে আসাম সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ৫৯তম রেঙ্ক পেয়েছিল লক্ষীপুরের ফুলেরতল এলাকার মেয়ে আহোঙবাম বেমথই চানু। কার্বি আংলংয়ের বোকাজান সাব-ডিভিশনে তিনি ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার হঠাৎ করেই তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। এতে তার সহকর্মী সহ বরাক উপত্যকার প্রত্যেকেই স্তম্ভিত। অত্যন্ত দক্ষ এবং জনপ্রিয় সরকারি কর্মচারি হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন কাছাড়ের সন্তানটি। তার মৃত্যুতে অনেকেই শোক ব্যক্ত করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার হঠাৎ করেই তিনি তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন। অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় শেষমেশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সেখানে ক্রমশ তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। একসময় ডাক্তাররা জানিয়ে দেন তিনি আর বেঁচে নেই। পরিবারের সদস্যরা এটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

লক্ষ্মীপুর ফুলেরতলের আশাপল্লী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করার পর উচ্চমাধ্যমিক পড়ার জন্য পয়লাপুলের নেহেরু কলেজে ভর্তি হন। ২০০৩ সালে ভালো মার্কস নিয়ে উচ্চতর মাধ্যমিক পাস করেন। নেহেরু কলেজ থেকেই ২০০৬ সালে ইংরেজি অনার্স নিয়ে স্নাতক হন। পরবর্তীতে পড়াশোনার জন্য গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় চলে যান। সেখান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর সিভিল সার্ভিসের জন্য নিজেকে তৈরি করতে শুরু করেন।

 

 

অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ২০১৫ সালের আসাম পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং সারা রাজ্যের মধ্যে ৫৯-তম স্থান অর্জন করেন। এরপর কার্বি আংলংয়ে তার পোস্টিং হয় এবং সেখানেই দীর্ঘদিন কাজ করেন। সম্প্রতি কার্বি আংলং’র বোকাজান সাব ডিভিশনে ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত ছিলেন। একজন দক্ষ সরকারি কর্মচারি হওয়ার পাশাপাশি খুব ভালো মনের মানুষ হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। আচমকা মৃত্যুতে তার সহকর্মীরা একেবারেই শোকস্তব্ধ। একইভাবে বরাক উপত্যকায় বিভিন্ন সরকারি কর্মচারি সহ পরিচিতরা শোক ব্যক্ত করেছেন।

লক্ষীপুরের বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা তার মৃত্যুতে শোক ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার একজন কৃতি সন্তানকে এভাবে হারানো অবশ্যই দুঃখজনক।

Comments are closed.