করোনা আতঙ্কে মাস্ক পড়েই বাসন্তী-পূজার বিসর্জনের শোভাযাত্রা শিলচরে
বুধবার রামনবমী উদযাপনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এই বছরের বাসন্তী পুজো। বৃহস্পতিবার ছোটখাটো সমারোহে সম্পন্ন হয়েছে বিসর্জন। প্রশাসনের তরফে বিসর্জন নিয়ে এবার কোনও আলাদা নিয়ম-নীতি ঘোষণা করা না হলেও রাজ্য সরকারের কোভিড প্রটোকল ছিল। কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশী মানুষ একসঙ্গে জড়ো হতে পারবেন না, এমনটাই বলে দেওয়া হয়েছে সরকারি এসওপিতে। যেহেতু বিসর্জন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, এক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল এবং জনগণ সেটা অমান্য করেন নি। প্রায় প্রত্যেকেই গায়ে সিঁদুর বা অন্যান্য রঙ মাখিয়ে আনন্দে নৃত্য করতে করতে বিসর্জন ঘাটের দিকে এগিয়ে গেলেও তাদের মুখে মাস্ক ছিল। এই দৃশ্য সচরাচর চোখে পড়ে না।
এদিন সকাল থেকেই বিসর্জন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং দিনভর সেটা চলতে থাকে। যদিও জনগণের চলাচল এখনো বন্ধ করেনি সরকার, তবে জনমনে সন্ধ্যা ছয়টা বেজে যাওয়া নিয়ে একটা আতঙ্ক রয়েছে। তাই দিনের বেলা প্রত্যেকে বিসর্জন সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া বিসর্জন ঘাটে একসঙ্গে অনেকগুলো মূর্তি একসঙ্গে প্রবেশ করেনি, সবাই একে একে নিজেদের মূর্তি নিয়ে আলাদাভাবে প্রবেশ করেছেন এবং তাড়াতাড়ি বিসর্জন শেষ করে বেরিয়ে গেছেন। সরকার ও প্রশাসন প্রায় সব ক্ষেত্রে জনগণের ওপর দায় চাপালেও, এদিন বিসর্জন প্রক্রিয়ায় জনগণ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে সবথেকে কঠোর আইন হচ্ছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট। এই সময়ে কোনও অনুষ্ঠানে কত মানুষ হবেন এবং নিয়ম না মানলে কার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা ঠিক করবে জেলা দুর্যোগ মোকাবেলা বিভাগ। বিভাগের আধিকারিক শামীম আহমেদ লস্করকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘বিসর্জন নিয়ে আলাদা কোনও নিয়ম বানানো হয়নি, তবে পুরও প্রক্রিয়ায় যাতে কোভিড প্রটোকল অমান্য করা না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়েছিল।’ কেউ প্রটোকল ভাঙছে কিনা এব্যাপারে কতটুকু নজরে রাখা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে শামীম বলেন, ‘একসঙ্গে অনেকগুলো দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হচ্ছে, ফলে এব্যাপারে আলাদা কোনও আধিকারিক নিযুক্ত করার মত অবস্থায় ছিলাম না আমরা। তবে আমার বিশ্বাস সাধারণ মানুষ নিয়ম পালন করেছেন।’
Comments are closed.