বাঙ্গালি হত্যা : হাইলাকান্দিতেও প্রতিবাদে মশাল মিছিল, 'আজ বন্ধ হচ্ছেই'.
উজান অসমের তিনসুকিয়ার ধলার বিছনিমুখে বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচ বাঙ্গালিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন হাইলাকান্দি জেলার নাগরিকরাও । । শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঙ্গালি হত্যা কান্ডের প্রতিবাদে সারা অসমের সঙ্গে হাইলাকান্দি জেলা সদর সহ লালা কাটলিছড়াও উত্তাল হয়ে উঠে। জেলা সদর হাইলাকান্দিতে বিভিন্ন দল, সংগঠন সহ নাগরিকরা রাস্তায় নেমে মশাল মিছিল করে হত্যাকান্ডের নিন্দা জানান। এবং শনিবারের বার ঘন্টার বরাক বনধ সফল করতে সর্বশ্রেনীর জনতার সহযোগিতা কামনা করেন।
অন্যদিকে এদিন কাটলিছড়া গৌড়ীয় মঠে সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় নাগরিকরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেন। এরপর মঠ থেকে সহস্রাধিক মানুষ হাতে মশাল, মোম বাতি নিয়ে চৌরংগী হয়ে বটতলা,থানা রোড থেকে মিছিল করে কাটলিছড়া বাসস্ট্যান্ড জমায়েত হন। সেখানে পাঁচ বাঙ্গালীর আত্মার চিরশান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় । এ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিবাদি সভায় অন্যদের মধ্যে দেবজিৎ দে,প্রেমরাজ গোয়ালা, প্রসাদ দেব, দীপক কান্তি আইচ, গোপী দেব,নির্মল দাস, দেবাশিষ দাস,বাবুল দাস, বাচ্চু পাল, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় নিহত পাঁচ বাঙ্গালির প্রত্যেকের পরিবারকে কুড়ি লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরন প্রদানের দাবি জানানো হয়।
এদিন কাটলিছড়া বাজার এলাকায় অর্থ সংগ্রহ করা করা হয় এবং সংগৃহিত অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর সর্বানন্দ সনোয়ালের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।
অনুরুপভাবে এদিন লালা শহরেও এক প্রতিবাদি মশাল মিছিল বের হয়। এতে অন্যদের মধ্যে এপিসিসি সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন বড়ভুইয়া, পুর সদস্য শঙ্কু চৌধুরী, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি শুভ্রজ্যোতি নাথ চৌধুরী, দেবাশিষ নাথ, সুজিত ঘোষ, আব্দুল মুবিন লস্কর, বিডিএসএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল আহাদ লস্কর, সুফিয়ান আহমেদ , মামন বড়ভূইয়া, প্রমুখ অংশ নেন।
Comments are closed.