বানোয়ার লাল মিনা কাছাড়ের এসপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন, "সবাইকে নিয়ে একসাথে চলবো", জানালেন
২০১৩ সালের আসাম ক্যাডার আইপিএস অফিসার বানোয়ার লাল মিনা সদিয়া থেকে বদলি হয়ে এসে কাছাড় জেলার এসপি হিসেবে মানবেন্দ্র দেবরায়ের কাছ থেকে দায়িত্ব সমঝে নিলেন আজ। চলতি মাসের ৮ তারিখে আসাম সরকার এক ঘোষণায় মানবেন্দ্র দেব রায়কে কাহিলিপাড়াস্থ ১০ম অসাম পুলিশ ব্যাটেলিয়ানের কমান্ড্যান্ট হিসাবে বদলি করে।
বরাক বুলেটিনের সাথে কথা বলতে গিয়ে মিনা জানান যে, তার প্রাথমিক কাজ হবে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর যাতে জেলায় সঠিকভাবে পালন করা হয়, তা সুনিশ্চিত করা। “নিরাপদ থাকতে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সমজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অন্যান্য বিধি নিষেধ যা এস ও পি তে উল্লেখ করা আছে, তা কড়াকড়ি ভাবে পালন করতে হবে।”
তাছাড়াও বানোয়ারলাল মীনা বলেন, কাছাড় একটা বড়সড় জেলা, গতিশীল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার দিকে দৃষ্টি দেওয়া হবে। কাছাড় জেলার পথ নিরাপত্তা একটি বিরাট বড় চিন্তার বিষয়। লাইসেন্সবিহীন চালকের যথেচ্ছভাবে যান চলাচলে দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ট্রাকচালক সবার চোখে ধুলো দিয়ে যখন তখন পালিয়ে যাচ্ছে।
মিনা মতামত ব্যক্ত করেন, “এসব ঘটনা নিয়ে সবার সাথে আলাপ আলোচনা করে, সবার মতামত নিয়ে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং তা কঠোরভাবে রূপায়ণ করা হবে।”
আরেকটা ব্যাপার নিয়ে প্রাক্তন এসপি মুগ্ধ জ্যোতি দেব মোহন্ত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেটা হলো মাদকদ্রব্য। কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত অনেক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চোরাচালানকারীরা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের নিরাপদ করিডর হিসেবে কাছাড় জেলাকে ব্যবহার করছে। পাচারের পথে কাছাড় জেলায় ও কিছুটা নামিয়ে দিয়ে যাচ্ছে; দেবমোহন্ত এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তবে, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের এর পরে কি হল, চক্র ভাঙলো কিনা তা এখনো অজানা।
মিনা জানান, তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কয়লা চোরাচালান সম্পর্কেও একই মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।
করোনা আবহে নতুন পুলিশ অধীক্ষকের কার্যকলাপ নিয়ে জেলাবাসীরা কৌতুহল নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
Comments are closed.