মনসা ভাসানে গিয়ে সদরঘাটের বিসর্জন স্থলে নদীতে তলিয়ে গেলেন বিশ্বজিৎ
মনসা প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে বরাকের জলে তলিয়ে গেলেন পঞ্চান্ন বর্ষীয় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী তথা শিক্ষক বিশ্বজিৎ কর যিনি বিষ্ণু নামেই সাংস্কৃতিক মহলে সুপরিচিত। ঘটনাটি গতকাল বিকেল চারটে নাগাদ সদরঘাটে অবস্থিত বিসর্জনঘাটে ঘটে ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, বিশ্বজিৎ বাড়ির পূজিতা মনসা মূর্তি ঠেলায় চাপিয়ে বিসর্জনের জন্য সদরঘাটের বিসর্জন স্থলে আসেন বিকেল চারটে নাগাদ । তার সঙ্গে ছিলেন তার ভাগ্নে ও ঠেলা চালক। তিনি মনসার ঘট বিসর্জন করতে গিয়ে একটু বেশি এগিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই হঠাৎ পা হড়কে ভারসাম্য হারিয়ে নদীতে পড়ে যান। ঘটনাটি বিসর্জন স্থলে উপস্থিত অনেকেই দেখতে পেয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন; কিন্তু তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করার মতো সাহস কেউ দেখাতে পারেননি। ঠেলা চলক তার দিকে একটা বাঁশ এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তার আগেই তিনি নদীর জলে নিচে তলিয়ে যান।
এই খবর শহরে ছড়িয়ে পড়তেই আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সাংস্কৃতিক কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সাথে সাথে খবর যায় এনডিআরএফ এর কাছে। এনডিআরএফ’য়ের জওয়ানরা তল্লাশি চালিয়ে চালিয়ে রাত পর্যন্ত বিশ্বজিৎ এর কোন সন্ধান পাননি। আজ দিনের আলোয় আবার তল্লাশি চালানো হবে।
বিশ্বজিৎ কর শহরতলীর উত্তর কৃষ্ণপুরে ইয়াসিন আলী হাই স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক। শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের মধ্যে ও তিনি খুব প্রিয় । শিক্ষকতার সাথে সাথে সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবেও তিনি সুপরিচিত । তিনি বিষ্ণু নামেই শিলচরের সাংস্কৃতিক মহলে সুপরিচিত। শিলচরের বিশিষ্ট দুটি সাংস্কৃতিক সংস্থা রূপম এবং সমকাল সাংস্কৃতিক সংস্থার তিনি সক্রিয় সদস্য।
Comments are closed.