এআইইউডিএফ দুর্গের পতন ঘটাতে হাইলাকান্দিতে ছাত্রনেতা মিলন দাসকে মনোনীত করল বিজেপি
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এআইইউডিএফ প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন লস্কর মাত্র ২৬০৮ ভোটে বিজেপি দলের সৌম্যজিৎ দত্ত চৌধুরীকে পরাজিত করেন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দল হাইলাকান্দিতে একবার মাত্র বিজয়ী হয়েছিল, সেই ১৯৯১ সনে ।
বিজেপি দলের চিত্তেন্দ্র নাথ মজুমদার জনতা দল প্রার্থীকে পরাজিত করে কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ এর দুর্গ হিসেবে পরিচিত হাইলাকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্ম ফুল ফুটিয়ে ছিলেন।
দত্তচৌধুরী ২০১৬ সনে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে ও জয় হাসিল করতে পারেননি। ২০২১ সালে দল এক তরুণ এবং উদ্যমী ছাত্রনেতা, আসাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের পূর্বতন সভাপতি তথা রিসার্চ স্কলার মিলন দাসকে হাইলাকান্দি কেন্দ্রে টিকেট দিয়েছে।
“আমি নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি বিজেপি দলের মতো একটি জাতীয় পার্টি আমার উপর বিশ্বাস রেখে দলীয় টিকেট দেওয়ায়। আমার প্রাথমিক কাজ হবে বিজেপি দলের ইশতেহার আমার বিধানসভা কেন্দ্রের সকল ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া”, বরাক বুলেটিনের সাথে কথা বলতে গিয়ে বললেন মিলন দাস।
সংখ্যালঘু ভোট সমৃদ্ধ হাইলাকান্দি কেন্দ্রকে এ আই ইউ ডি এফ এর একটি ঘাটি হিসেবে মনে করা হয়। তবে মিলন দাস মনে করেন যে, বিজেপি দল ও সংখ্যালঘু ভোট পেয়ে থাকে, এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। “এক সময় হাইলাকান্দিতে সংখ্যালঘু হিন্দুরা খুব ভয়ের মধ্যে দিন যাপন করতেন, বর্তমানে পরিস্থিতি সেরকম নয়। হিন্দুদের ও বিভিন্ন তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিতে উপস্থিতি রয়েছে”, বললেন দাস
আজ বিজেপি দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং সাম্প্রতিক নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের দলীয় প্রার্থীর আরো একটি তালিকা প্রকাশ করেন। এই তালিকাতে মিলন দাসের মনোনয়ন পাওয়ার স্থিতি স্পষ্ট হয়। এই তালিকা থেকে জানা যায় হোজাই কেন্দ্রে এবার বহুৎ চর্চিত এবং বিতর্কিত শিলাদিত্য দেব দলীয় মনোনয়ন পাননি। তার স্থানে স্বল্পপরিচিত রামকৃষ্ণ ঘোষকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
যাই হোক, এবার দেখা যাক মিলন দাস সেই ঘাঁটিতে ধস নামাতে পারেন কিনা; এর উত্তর মিলবে আগামী ২রা মে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে।
Comments are closed.