বিজেপির শরিক আজিজ খানকে প্রার্থী করলে দোষ হয় না, শুধু আমাদের আঁতাত অপবিত্র? প্রশ্ন কংগ্রেসের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিজেপির প্রায় প্রত্যেক নেতা এআইইউডিএফ দলের সঙ্গে আঁতাত করার জন্য কংগ্রেসকে নানাভাবে আক্রমণ করছেন। শুক্রবার এআইসিসি মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাথকে সঙ্গে নিয়ে শিলচরে বসে এসব প্রশ্নের উত্তর দেন জাতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেব। এআইইউডিএফ দলের সঙ্গে আঁতাত নিয়ে যেসব সমালোচনার ঝড় উঠেছে এই প্রসঙ্গে সুস্মিতা বলেন, “বিজেপি জম্মু-কাশ্মীরে মেহবুবা মুফতির দলের সঙ্গে আঁতাত করতে পারে। বরাক উপত্যকায় বিজেপির শরিক অগপ একজন লোককে প্রার্থী করেছে যিনি আগেরবার এআইইউডিএফ দলের বিধায়ক ছিলেন। সেগুলো অপবিত্র নয়? শুধু আমাদের বেলায় সব দোষ? এগুলো আসলে বিজেপির হতাশার বহিঃপ্রকাশ। তারা পাঁচ বছর আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এর কোনোটাই পালন করতে পারেনি, সেটা ঢাকতেই এমন বয়ানবাজি চলছে।”
সুপ্রিয়া শ্রীনাথ বলেন, “আমরা ইউটিউবে প্রধানমন্ত্রীর করিমগঞ্জ সফরের ভাষণ দেখেছি, তাকে এদিন অত্যন্ত হতাশ এবং ক্লান্ত মনে হয়েছে। স্থানীয় কোনও বিষয় নিয়ে তিনি কথা বললেন না, কোনও প্রতিশ্রুতি দিলেন না এবং তড়িঘড়ি অনুষ্ঠান সেড়ে বেরিয়ে গেলেন। তিনি জানেন তাঁর দল প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি, বলেছিলেন ২৫ লক্ষ চাকরি দেবেন, আদতে ৮০ হাজার চাকরিও দিতে পারেননি। এমন আরও অনেক কথা রয়েছে যেখানে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে তার হতাশা স্বাভাবিক।”
নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ টেনে সুস্মিতা দেব বলেন, “২০১৯ সালে তারা ক্যাব নিয়ে নির্বাচন লড়লেন, পরবর্তীতে কা-আইন হলো, অথচ আজ পর্যন্ত এর নিয়মাবলী বানানো গেল না। এনআরসির সময়ে সাধারণ মানুষ নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে দিয়ে প্রমাণ দেবার চেষ্টা করেছেন তারা ভারতীয়। এবার তাদের যদি কা-আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে হয়, আগে প্রমাণ করতে হবে তারা বাংলাদেশী এবং সেখান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের ফলে ভারতে এসেছেন। এটা কতটুকু হাস্যকর অথচ বিপদজনক আমরা চোখের সামনে দেখেও বুঝতে পারছিনা। আর এই বিজেপি আমাদের নীতি আর নিয়ত শেখাবে?”
সুস্মিতা আরও বলেন, “পাঞ্জাবের জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি আর অসমের জনসংখ্যা ৪ কোটির কাছাকাছি। আড়াই কোটি জনসংখ্যা নিয়ে পাঞ্জাবে ১০ লক্ষের বেশি সরকারি চাকরি রয়েছে অথচ আমাদের রাজ্যে এক লক্ষ চাকরিও গত পাঁচবছরে হয়নি। আগেরবার তারা ২৫ লক্ষ বলেছিলেন এবার সেটা কমিয়ে বলছেন সরকারে এলে ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে। তারা নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার ঢাক পেটাচ্ছেন। আমাদের মেনিফেস্টোর কাজ প্রায় শেষ, আগামীতে জনসমক্ষে তুলে ধরবো। তবে বিজেপির মেনিফেস্টো এলে সেটা হাতে নিয়ে চোখে আঙ্গুল দিয়ে জনগণকে দেখিয়ে দেবো তারা গত পাঁচ বছরে কিভাবে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছেন।”
শুক্রবার ডিব্রুগড় এবং তিনসুকিয়া জেলা পরিদর্শন করেছেন রাহুল গান্ধী। ২৫ মার্চের পর বরাক উপত্যকা সফরের সম্ভাবনা রয়েছে তার।
Comments are closed.