বিজেপির জিপি সভাপতি হত্যাকাণ্ড: আটক পাঁচ, মৃতদেহ নিয়ে মহাসড়কে বিশাল মিছিল
হাতিছড়া গাঁও পঞ্চায়েতের সভাপতি সুখেন্দু দাসের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করেছে কাছাড় পুলিশ। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত প্রায় সাড়ে আটটার সময় হাতিছড়া গাঁও পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত সভাপতি সুখেন্দু দাসের উপর দুস্কৃতিকারীরা গুলি চালায়। সাথে সাথেই সুখেন্দু দাস এবং তার সঙ্গী রিঙ্কু সেনাপতিকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাত ১১.৩০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রিঙ্কু সেনাপতির আঘাত গুরুতর হলেও সর্বশেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সেনাপতি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং বিপদ মুক্ত হয়েছেন।
এদিকে পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে এবং এরই প্রেক্ষিতে তারা ৫ জন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে। পুলিশ তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। “আমরা তাদের পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের আটক করা হয়েছে, কিন্তু গ্রেফতার করা হয়নি।” কাছাড় পুলিশের পুলিশ সুপার মুগ্ধ জ্যোতি দেব মহান্ত এ কথা জানান। তিনি আরো বলেন,” এ পর্যন্ত খুনের ঘটনাটিকে রাজনৈতিক বলে মনে হচ্ছে না। এটি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেই ঘটতে পারে কিংবা নিছকই দুর্ঘটনাও হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত চলাকালীন এ ব্যাপারে কোন ধারণা করা ঠিক হবে না।”
.৫ জন গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, মন্টু চক্রবর্তী, জয়মুল আলি, দারা সিং রাজবংশী, মুজিবুর রহমান লস্কর, নিজাম উদ্দিন লস্কর।
অন্যদিকে জেলা বিজেপি আজ বিরাট এক বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল। মিছিলটি সুখেন্দু দাসের মৃতদেহ নিয়ে বাসস্থান থেকে শুরু করে মহাসড়ক ধরে ঝাঁপিরবন্দের ঘটনাস্থল পর্যন্ত যায়, যেখানে বন্দুকধারীরা দাসের উপর গুলি চালিয়েছিল। সেখান থেকে মিছিলটি লাঠিগ্রাম হয়ে তার বাসস্থানে পৌঁছায়। মিছিলে বিজেপির জেলা নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। আমাদের সংবাদদাতা জানান, জেলা সভাপতি কৌশিক রাই, বিজেপির মুখপাত্র রাজদীপ রায়, কিশোর নাথ সহ আরো অনেকে এতে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সুখেন্দু দাসের শেষকৃত্য আজ সম্পন্ন হচ্ছে।
Comments are closed.