আজাদহিন্দ রোডে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার, সন্দেহ খুন
সোমবার শিলচরের আজাদ হিন্দ রোড এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন সকালে আজাদ হিন্দ রোড সংলগ্ন খালের পারে মৃতদেহটি দেখতে পান এলাকার জনগণ এবং তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহটি তুলে নিয়ে যায়।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তিটির নাম পরিতোষ পাল, বয়স ৫০ এর কাছাকাছি এবং তিনি ছিলেন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ি চেংকুড়ি রোডের রামকৃষ্ণ সরনিতে, সেখানে স্ত্রী এবং দুই মেয়ে নিয়ে নিজের বাড়িতে থাকতেন পরিতোষ। তবে ব্যবসার কাজে প্রায়শই মিজোরামে থাকতে হতো তাকে এবং খুব কম সময়ই শিলচর থাকার সুযোগ হতো তাঁর।
ঘটনাটি নেহাৎ আকস্মিক মৃত্যু না খুন এনিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এব্যাপারে ন্য়াশনাল হাইওয়ে রোড পুলিশ পয়েন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ত্রিভুবন সইকিয়া বলেন, মৃতদেহটি অস্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং মৃত ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের দাগ রয়েছে। মৃতদেহটি আপাতত শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে এবং ডাক্তাররা পরীক্ষা করার পরই জানা যাবে যে কি অবস্থায় ব্যক্তিটির মৃত্যু হয়েছে।তবে ঘটনাটি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পরিবার সুত্রে জানা গেছে রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর দুই মেয়ের আবদারে খাবার আনতে বেরিয়ে যান পরিতোষবাবু, তারপর আর বাড়ি ফেরেন নি। পরিবারের তরফে চেষ্টা করলেও কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি তার সঙ্গে। তিনি কিছুদিন ধরেই মানসিক ভাবে অশান্তিতে ছিলেন তবে এর কারন কাউকে বলেন নি। তাঁর অশান্তির জন্য পরিবারের সবাই চিন্তিত ছিলেন তবে এভাবে মৃত্যু হওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না তারা। যে অবস্থায় মৃতদেহটি পাওয়া গেছে, তাতে ঘটনাটি খুনেরও হতে পারে বলে ধারনা করলেও পুলিশে এফআইআর দিতে রাজি হননি পরিতোষের স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এলাকার একাংশ মানুষের ধারনা যে ঘটনাটি ত্রিকোণ প্রেমেরও হতে পারে। তারা বলেন, কিছুদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল, এনিয়ে পাড়ার মানুষের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনাও হয়। তবে এর বেশী তাঁরা জানেন না। তাঁরা আশা করছেন পুলিশ তদন্তে অনেক তথ্য উঠে আসবে।
Comments are closed.