Also read in

করোনা আতঙ্ক না অভিমানের জের ! হাইলাকান্দিতে স্কুলের শৌচাগারে দক্ষিণ ভারতীয় যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

অন্য রাজ্য থেকে ফেরা হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা এক দম্পতি বাড়িতে ঠাঁই না পেয়ে পাশের স্কুলে আশ্রয় নেওয়ার তেরো দিনের মাথায় গলায় দড়ি দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় হাইলাকান্দি জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত গৃহবধূর নাম সারবিন তাজ, বয়স ৩০। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাইলাকান্দির নিশ্চিন্তপুর দ্বিতীয় খন্ড গ্রামে , শনিবার রাতে। যদিও ঘটনাটি ধরা পড়েছে রবিবার সকালে।

জানা গেছে, নিশ্চিন্তপুর দ্বিতীয় খন্ড গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন লস্কর কর্মসূত্রে দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর শিবাজী নগরে ছিলেন। সেখানে সারবিন তাজ নামের যুবতীকে তিনি বিয়ে করেন। তাদের আট বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।নাম উমর আকবর হোসেন‌। কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জুন স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে হাইলাকান্দি ফেরেন আবুল হোসেন লস্কর। ধনেশ্বর পয়েন্টে যথারীতি তাদের সোয়াব টেস্টের জন্য নিয়ে হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্ত বহির্রাজ্য থেকে আসায় পরিবারের লোকেরা তাদেরকে বাড়িতে ঠাঁই দেন নি। যার ফলে অসহায় অবস্থায় তারা গ্রামের একটি দোকানের বারান্দায় প্রথম তিন দিন অতিবাহিত করেন।এরপর জিপি সভাপতির পরামর্শে তারা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন।

এদিকে শনিবার আবুল হোসেন লস্কর ও পুত্র উমর আকবর হোসেনের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্ত সারবিন তাজের রিপোর্ট আসেনি। স্থানীয় নাগরিকরা জানান, দক্ষিন ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে এসে এহেন এক অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখে পড়ে ফের ব্যাঙ্গালুরু ফিরে যেতে চান সারবিন। করোনা আতঙ্ক তাকে তাড়া করছিল। আর তারই মধ্যে শনিবার রাতে আত্মহত্যা করেন সারবিন তাজ।

রবিবার সকালে স্ত্রীকে স্কুলের শৌচাগারে আবিস্কার করেন আবুল হোসেন লস্কর। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় গোটাএলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

Comments are closed.