ভেসে উঠলো বরাকে তলিয়ে যাওয়া বিহারের যুবকের লাশ
রবিবার সকালে অন্নপূর্ণা ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বরাক নদীতে তলিয়ে গেছিল মালুগ্রাম এলাকায় ভাড়া ঘরে থাকা বিহারের এক যুবক। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি সুরক্ষা বাহিনী। সোমবার দুপুরে ওই এলাকায় তার মৃতদেহ ভেসে উঠে। জানা গেছে, রবিবার সকালে তার সঙ্গীদের নিয়ে স্নান করতে নদীতে গেছিল দীপক শাহ নামের যুবকটি। তখনই ঘটনাটি ঘটে এবং সে নিখোঁজ হয়।
তার সঙ্গে স্নান করতে যাওয়া আরেক যুবক জিতেন্দ্র শাহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানিয়েছেন, জলের ধারে বসে ফোনে কথা বলছিল দীপক শাহ এবং হঠাৎ করেই তার একটি চপ্পল ভেসে চলে যায়। সেটা বাঁচাতেই সে জলে ঝাঁপ দেয় কিন্তু স্রোত বেশি থাকায় বিপদ ঘটে। তাকে বাঁচাতে আরেক সঙ্গী মুন্না মাহাতো জলে ঝাঁপ দেয় এবং সেও সুবিধা করতে পারেনি। তাদের দুজনকে বাঁচাতে সঙ্গের আরো দুই যুবক চেষ্টা করে। একজন ঝাঁপ দিয়ে দীপককে বাঁচানোর চেষ্টা করে এবং অন্যজন গামছা এগিয়ে দিয়ে মুন্না মাহাতোকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। গামছা ধরে মুন্না মাহাতো বেঁচে গেলেও দীপক শাহ তলিয়ে যায়। এরপর তারা এলাকাবাসীদের খবরটি জানান এবং অনেকেই ডুব দিয়ে দীপককে খোঁজার চেষ্টা করেন।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, বিহারের এই চার যুবক ইটখোলার স্বামীজি রোডে এক বাড়িতে ভাড়া থাকে। তারা ছোটখাটো ব্যবসার জন্য শিলচরে এসেছে। রবিবার সকালে সবাই একসঙ্গে স্নান করতে যায় এবং সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এসডিআরএস বাহিনী এসে তলিয়ে যাওয়া যুবককে খোঁজার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুতেই তারা যুবককে উদ্ধার করতে পারেননি। শেষমেষ সোমবার দুপুরে তার মৃতদেহ ভেসে ওঠে।
এই ঘটনায় আবারও সুরক্ষা বাহিনীর কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি অন্নপূর্ণাঘাট সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে যেখানে তলিয়ে যাওয়া মানুষদের খুঁজতে ব্যর্থ হয় সুরক্ষা বাহিনী। অথচ পরে ওই এলাকা থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামীতে যাতে এলাকায় অসাবধানতাবশত এমন দুর্ঘটনা না ঘটে, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিভাগ।
Comments are closed.