সব প্রতিকূলতাকে জয় করে বইমেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে", বইমেলার উদ্বোধন হল করিমগঞ্জে
শিলচরের পর করিমগঞ্জেও শুরু হলো বাঙালির ‘চতুর্দশ পার্বন’ বইমেলা। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের করিমগঞ্জ জেলা সমিতির উদ্যোগে স্থানীয় টাউন কালীবাড়ি রোডে আয়োজিত এই করিমগঞ্জ বইমেলার প্রদীপ জ্বালিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন করিমগঞ্জ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রাধিকা রঞ্জন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরাক বঙ্গের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর সব্যসাচী রায়।
বুধবার সন্ধ্যায় বইমেলার উদ্বোধন করে অধ্যাপক ডক্টর রাধিকা রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বই ছাড়া সমাজ অচল। যতই ইন্টারনেট ও মোবাইল গোটা দুনিয়া দখল করুক তবুও এখনো মানুষের মনের খোরাক যোগায় বই। নতুন বইয়ের গন্ধ এখনও কিছু সংখ্যক মানুষকে পাগল করে। তাই বইমেলা আয়োজন করে বই পড়ার অভ্যাসকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।” তিনি আরো বলেন,”সব প্রতিকূলতাকে জয় করে বইমেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে বরাক উপত্যকার সাহিত্য-সংস্কৃতির আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য”। তিনি সঙ্গে বলেন, বর্তমানে এনআরসি ও নাগরিকত্ব নিয়ে বাঙালির সংকট চলছে, এর বিরুদ্ধে বইমেলাও হয়ে উঠুক প্রতিবাদের হাতিয়ার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরাক বঙ্গের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সব্যসাচী রায় বলেন, “নানা ধরনের সমস্যা ও প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে আমরা মেলার আয়োজন করেছি। প্রতিদিন বইপ্রেমীদের ভিড়ে এই মেলা প্রকৃত অর্থে গ্রন্থতীর্থে পরিণত হোক”। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেছেন বিজেপির করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দেব, সুধীর রায়চৌধুরী, সুবীর বরণ রায় প্রমূখ। অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন বরাক বঙ্গের করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি সুধাংশু শেখর দত্ত । মেলায় কলকাতা, দিল্লি, গুয়াহাটি ও আগরতলার প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতারা বইয়ের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিল্লির ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স, পারুল প্রকাশনী, তালিম প্রকাশনী, আগরতলার অক্ষর পাবলিকেশন্স। প্রতিদিন থাকছে আলোচনা সভা, সাহিত্য ও কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। মেলা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
Comments are closed.