Also read in

গৃহমন্ত্রকের নির্দেশে সীমান্ত সিল, কঠোর স্থিতি বিএসএফের, নো ম্যান্স ল্যাণ্ডে হাহাকার

দেশ জুড়ে মহা আতঙ্ক সৃষ্টি কারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধ করতে শনিবার কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিল করা হয়েছে গোটা সীমান্ত । সম্পূর্ন রূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত গেইট । দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে ।

নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে সীমান্ত এলাকা জুড়ে। বন্দিত্বের জীবন যাপনের মত এখন থেকে সম্পূর্ণ গৃহ বন্দি হয়ে থাকতে হবে কাঁটা তারের ভিতরে থাকা নো ম্যান্স ল্যান্ডের বাসিন্দাদের । প্রয়োজন, অপ্রায়জন, জরুরি পরিষেবা যে কোন ক্ষেত্রে দেশের মাটিতে পা রাখার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এদের । শনিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে করিমগঞ্জ সীমান্তে প্রত্যেকটি ভারত বাংলা গেইট । যার কারণে হাহাকার শুরু হয়েছে ভারতীয় মূল ভূখন্ড থেকে ছিটকে পরা ছিন্নমূলের বাসিন্দাদের মধ্যে । এমনিতে দেশে লকডাউনের কারণে তারা কর্মহীন।বাসিন্দাদের আশি শতাংশ দিন মজুর, কৃষিজীবি বা মৎস্যজীবি । সরকারি সব সাহায্য থেকে সবদিনের জন্য তারা বঞ্চিত । এর মধ্যে কেন্দ্র সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তে রীতিমত মাথায় হাত পড়েছে তাদের। দু বেলা ভাতের ব্যবস্থা করতে তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

 

এদিকে সীমান্ত সিল নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক বসে শনিবার করিমগঞ্জে । জেলাশাসক, বিএসএফ আধিকারিক, বিধায়কের উপস্থিতিতে বৈঠক সম্পন্ন হওয়ার পরও কোন আশার আলো মেলেনি । জেলাশাসক কাঁটা তারের ভিতরের মানুষের পানীয় জল, খাদ্য সামগ্রী যোগান দেবার পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে সার্কেল অফিসারকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন । বিকেলে সীমান্ত এলাকায় ছুটে এসেছেন বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ । এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন এদের । দিনে এক ঘন্টা করে সীমান্ত গেট খুলে দিয়ে এখানকার বাসিন্দাদের বাজার হাট করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন তিনি প্রশাসনের কাছে । উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ সীমান্তে ৭৫০ জনের বেশি নো ম্যান্স ল্যান্ডের বাসিন্দা । এর মধ্যে মহিষাশন কুয়োরভাগে রয়েছেন ৫ পরিবার, তেশুয়ায় ২ পরিবার, লাতু কান্দিতে ৯ পরিবার, গবিন্দপুরে ৪০ পরিবার, জারাপাতায় ১৫ পরিবার, লাফসাইলে ৬০ পরিবার এবং লামজুয়ারে ২ পরিবার ।

Comments are closed.