
হৃদয় বিদারক ঘটনা : মাকে পিটিয়ে মারল ছেলে, নিজের ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর বাবার, গ্রেফতার
“আমার মা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং আমি ক্লান্ত হয়ে বাড়ি পৌঁছানোর পর তিনি আজেবাজে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। তাই, আমি বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছিলাম এবং তাকে ধাক্কা দিয়েছিলাম,” মাকে হত্যার পর ৩৪ বছর বয়সী ছেলে অমরজিৎ দেব বলল।
“সে তার মাকে ধাক্কা দেয়নি, আক্ষরিক অর্থেই তাকে মেরে ফেলেছে,” বললেন মাতৃঘাতক ছেলের বাবা অপূর্ব কুমার দেব । মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উধারবন্দের গোসাইপুর পঞ্চম খন্ড এলাকায়। “আমার ছেলে বাইরে কোথাও ছিল। সে তার সাইকেলে বাড়ি ফিরে আসার সাথে সাথেই তার অসুস্থ মাকে বারান্দায় টেনে নিয়ে লাথি মারতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, সে একটি বাঁশ নিয়ে এসে তার মাকে মারতে থাকে। আমি থামাতে গেলে সে আমাকে ও মারধর শুরু করে। প্রতিবেশীরা তাকে থামাতে এসেছিল কিন্তু পারেনি,” অপূর্ব কুমার দেব বলেন। তিনি গিয়ে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর দায়ের করে অভিযোগ করেন যে তার ছেলে অমরজিৎ দেব তার নিজের মা সুমতি দেবকে নিজের বাসায় হত্যা করেছে। এফআইআর-এর ভিত্তিতে কাছাড় পুলিশ ৩৪ বছর বয়সী যুবককে গ্রেপ্তার করে। “সে তার ছোট ভাই অর্থাৎ আমার ছোট ছেলেকে ডেকে নিয়ে কিছু আলোচনা করেছিল। তার পরপরই সে তার মাকে মারধর করতে শুরু করে। আমি হতবাক হয়ে গেলাম , সে কেন এমনটা করল। এছাড়া, যদি তাকে বিরক্ত ও করে, তবে নিজের মাকে হত্যা করতে হবে? ” বললেন অপূর্ব কুমার দেব।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। “আমার মা আমাকে দেখে চিৎকার করতে শুরু করেন । সারা দিন খাটুনির পর এসব ঝামেলা আমার মন মেনে নিতে পারে নি। এবং তারপর আমার বাবাও এই ঝামেলায় যোগ দেন, তখনই আমি শারীরিকভাবে আঘাত করি ,” থানার বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলল অমরজিত।
Comments are closed.