ব্রেকিং নিউজ: এএইচএসইসি পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলঃ স্বস্তি ছাত্রমহলে
আসাম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিলের কার্যনির্বাহ কমিটির সভায় আজ কাউন্সিল পরীক্ষা পুনরায় সংগঠিত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কার্যনির্বাহ কমিটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের জন্য প্রদীপ কলিতাকে পরামর্শ দেয়। সূত্র মতে কলিতা প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০ মে ২০১৮ তে ফলাফল ঘোষিত হবে বলে এএইচএসইসির সচিব কোমল জ্যোতি গগৈ বরাক বুলেটিন ডট কম কে জানিয়েছেন। সভায় কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয় যে বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সব ছাত্রদের বিস্তারিত বিবরণ পরীক্ষা করা হবে। সচিব আমাদের জানান, “আমরা বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি থেকে আমাদের স্বীকৃতি বাতিল করে দিয়েছি, তারা আর আমাদের সাথে যুক্ত নয়। শিক্ষার্থীদেরকে একটি নতুন স্কুল খুঁজতে বলা হয়েছে।” কাউন্সিল পরীক্ষার সাংগঠনিক কমিটির মোট ১৯ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অপসারণ করেছে।
কার্যনির্বাহী কমিটি তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ম ভঙ্গের অপরাধে। তিনটি কেন্দ্র হলো আবুতানি (জোনাই), গোগামুখ এবং শিলচরের একটি কেন্দ্র। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কয়েকদিন আগে এইচএস পরীক্ষায় শীর্ষ দশটি স্থান ঘোষনা বাতিল করার বিষয়ে আলোচনা করেন। কাউন্সিল এই বছরের ছাত্রদের প্রথম দশটি স্থান প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী বছরে বিষয়টি বিভিন্ন ছাত্র সংস্থা, অভিভাবক, অংশগ্রহণকারী সহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
“আজ আমরা তিনটি সংস্কার কমিটি গঠন করেছি। তার মধ্যে রয়েছে পরীক্ষা সংস্কার কমিটি, প্রশাসন সংস্কার কমিটি, যা নতুন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ করবে ও আপগ্রেড করার জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং শিক্ষাগত সংস্কার কমিটি বইগুলির ত্রুটি সংশোধন করবে এবং বিভিন্ন কার্যধারা নিরীক্ষণের জন্য স্কুল ও প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করবে বলে কোমল জ্যোতি গগৈ বলেন। তিনি আরও যোগ করেন যে বৈঠকে কমিটি আগামী বছরের বাজেট নিয়েও আলোচনা করেছে।
এখানে উল্লেখ করা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পর আসাম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল (এ.এইচ.এস.ই.সি) এই বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক বি সি দাসকে কমিটির প্রধান পদে নিযুক্ত করা হয় এবং কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অনুষদ সদস্যকে বিষয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
কমিটি গত ১৯ মার্চ এ.এইচ.এস.ই.সিকে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে কমিটি উল্লেখ করেছে যে সায়েন্স অ্যাকাডেমির পরীক্ষার সঙ্গে কাউন্সিলের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল রয়েছে। কমিটি মনে করে যে এই মিলগুলিকে নেহাত কাকতলীয় হিসেবে গণ্য করা যাবে না। দাসের নেতৃত্বাধীন প্যানেল এই বিষয়ে একটি ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছে এবং একটি তদন্ত সংস্থা কর্তৃক তাৎক্ষণিক তদন্ত চালানোর পরামর্শ দিয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনে এ.এইচ.এস.ই.সিকে পুনরায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ তারা মনে করে যে যারা এই অনুরূপ প্রশ্নপত্রগুলি পায়নি তাদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে।
এই সবকিছু একটি আঞ্চলিক নিউজ চ্যানেলের প্রতিবেদন থেকে শুরু হয়। প্রতিবেদনটিতে সায়েন্স একাডেমির ‘টেস্ট পেপার’ এবং প্রকৃত প্রশ্নপত্রের মধ্যে অদ্ভুতভাবে থাকা সাদৃশ্যর বিষয়টি তুলে ধরা হয়। পরে বিভিন্ন যুব সংগঠন, ছাত্র সংগঠন এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বিষয়টির উচিত তদন্ত দাবি করে।
Comments are closed.