Also read in

শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য দোষী প্রমাণিত শিলচর মেডিকেল কলেজের এক স্নাতকোত্তর ছাত্র সাময়িক বরখাস্ত

শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একাডেমিক কাউন্সিলের নেওয়া সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে অর্থোপেডিক বিভাগের একজন স্নাতকোত্তর ছাত্রকে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২০২১-২২ ব্যাচের ছাত্র ডক্টর এম কিউ লস্করকে ছয় মাসের জন্য ক্লাসে যোগদান এবং একাডেমিক সুযোগ-সুবিধাগুলি স্থগিত রাখা হয়েছে৷ উপরন্তু, তাকে হোস্টেল থেকে ও বহিষ্কার করা হয়েছে।

১৭ মার্চ,২০২৩ তারিখে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল কাম চিফ সুপারিনটেনডেন্টের চেম্বারে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ছাত্রটিকে তার বরাদ্দকৃত জরুরী দায়িত্বে অনুপস্থিত থাকার জন্য, অধ্যক্ষ এবং উভয়ের কাছে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। অর্থোপেডিক্স বিভাগের অধ্যাপক ও এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য মধ্যস্থতাকারীদের জড়িত করার জন্য ও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এই ছাত্রের ক্রিয়াকলাপকে শৃঙ্খলাভঙ্গের ইচ্ছাকৃত প্রয়াস হিসাবে দেখা হয়েছিল এবং একাডেমিক কাউন্সিল তাই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল। অর্থোপেডিকস বিভাগের দোষী পিজি ছাত্রের উপর আরোপিত ব্যবস্থা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এই সিদ্ধান্ত শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ছাত্রদের কাছে একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছে যে কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গের কাজ সহ্য করা হবে না, বিশেষত যখন এটি রোগীর যত্নকে বিপন্ন করে। এটি চিকিৎসা পেশায় নৈতিক আচরণ এবং পেশাদারিত্বের গুরুত্বও তুলে ধরে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, অর্থোপেডিক বিভাগের একটি চাঞ্চল্যকর ফেসবুক পোস্টে একটি স্বীকারোক্তিমূলক (কনফেসন) পেজে একজন জুনিয়র অভিযোগ করেছিল যে, তাকে এমন পরিমাণে করা হচ্ছে যে তিনি আত্মহত্যা করার কথা ভাবছিলেন। এই স্বীকারোক্তির পর অধিদফতরে নজরদারি বাড়ানো হয়। এরপর কয়েকটি বিভাগে কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে।

Comments are closed.

error: Content is protected !!