৩১ মার্চের মধ্যে মধুরাঘাটে বরাক-সেতু অনুমোদন না হলে বৃহত্তর আন্দোলন
বরাক নদীর উপর নতুন আরসিসি সেতু মালুগ্রামের মধুরাঘাটেই হতে হবে এবং প্রকল্পটি এবছর বাজেটেই চুৃড়ান্ত করতে হবে। মালুগ্রাম এবং দুধপাতিলের মানুষ ১৯৮৯ সাল থেকে সেতুটির জন্য লড়াই করে আসছেন এবং “এবার আমরা প্রান দিতেও রাজি আছি” এমনটাই জানালেন শিলচর মধুরাঘাট বরাক ব্রিজ ডিমান্ড কমিটির সদস্যরা।
আজ শিলচরে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তারা এই কথাগুলো বলেন । এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি কিশোর কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক তন্ময় পুরকায়স্থ, কার্যকরী সভাপতি এবং অন্যান্যরা। তাঁদের অভিযোগ বড়খলার বর্তমান বিধায়ক কিশোর নাথ মধুরাঘাটে সেতুটি হওয়ার বিরুদ্ধে এবং এর পেছনে বিধায়কের ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে।
কিশোর নাথ শুরু থেকেই চেস্টা করছেন যেন সেতুটি অন্নপূর্ণা ঘাটে হয়। অথচ ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী মধুরাঘাট সেতুর অনুমোদন দিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় কিছু নেতা নানান রাজনৈতিক কারনে প্রকল্পটি হতে দেননি। এবার একই কাজ করছেন বড়খলার বিধায়ক।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের তরফে মধুরাঘাট থেকে অন্নপূর্ণা ঘাট পর্যন্ত সমীক্ষা হয়। সমিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন বাস্তুকার পিপি নাথ যিনি ২০০০ সালে এমনই একটি সমীক্ষার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০০ সালে তিনি মধুরাঘাটে সেতু হওয়ার পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। তবে এবার তিনি অন্য কথা বলছেন। তারা বলেন ” আমাদের বিশ্বাস কিশোর নাথের পরামর্শেই তিনি কাজটি করেছেন। এই অঞ্চলের মানুষ প্রায় তিন দশক ধরে আন্দোলনটি করে আসছেন। গত বছর এপ্রিল মাসে ১৫ হাজার মানুষ বিরাট আন্দোলন করেছেন। আগস্ট মাসে আমাদের প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবিকে ন্যায্য বলে মেনে নিয়ে এ ব্য়াপারে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দেন। এছাড়াও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, রাজ্যের পুর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য এবং রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ দিলীপ কুমার পালের মতো ব্যক্তিরা আমাদের পাশে আছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
আমাদের দাবি, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই মধুরাঘাটের আশেপাশে কোনও এলাকায় বরাকের উপর সেতু নির্মাণের অনুমোদন দিতে হবে।” তারা হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন যে এমনটা না হলে ১লা এপ্রিলের পর থেকে বিরাট আন্দোলনের ডাক দেবেন বৃহত্তর বড়খলা এবং মালুগ্রামের মানুষ এতে সামিল হবেন
Comments are closed.