![](https://barakbulletin.com/wp-content/uploads/2018/09/WhatsApp-Image-2018-09-13-at-8.26.31-PM-750x430.jpeg)
বিধায়ক কিশোর নাথের সমর্থনে এবার মাঠে নামলেন বড়খলা বিকাশ পরিষদ এবং সুশীল সমাজ
বরাক নদীর ওপরে সেতু কোথায় হবে তা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। গত শুক্রবারে এ নিয়ে বিধায়ক কিশোর নাথের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনে নেমেছিলেন চৈতন্যনগর অঞ্চলের জনগণ। ইটখোলা স্বামীজি রোড-চৈতন্য নগর এলাকায় সেতু নির্মাণের তীব্র বিরোধিতা করেন তারা। তারা অভিযোগ করেছিলেন যে, বিধায়ক কিশোর নাথ চৈতন্য নগরেই সেতু নির্মাণের উদ্যোগী হয়েছেন, যার ফলে প্রায় ৬০০টি পরিবার উৎখাত হবে। জানা গেছে, ওই আন্দোলনে বিজেপির এক পুর কমিশনারও সামিল হয়েছিলেন। আজ তার পাল্টা হিসেবে শক্তি প্রদর্শন করলেন বড়খলা অঞ্চলের জনগণ। আজকের আন্দোলনে জেলা উপায়ুক্তের অফিস কাঁপালেন কিশোর নাথের সমর্থকরা। বড়খলা বিকাশ পরিষদ এবং সুশীল সমাজের ব্যানারে আজকের এই আন্দোলন ।
মিছিল করে এসে জেলা উপায়ুক্তের কাছে স্মারক পত্র দিতে গিয়ে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন যে, একটি দালাল চক্রের ক্রিয়া-কলাপ এর ফলে বরাক নদীর উপর সেতু নির্মাণ পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা দাবি করেন যে, বিশেষজ্ঞরা যে জায়গায় এই সেতু নির্মাণের সুপারিশ করবেন সেখানেই সেতুটা হবে। এ নিয়ে দালাল চক্রের রাজনীতি চলবেনা । এবং বিধায়ক কিশোর নাথকে অকারণে এটার সাথে জড়িয়ে তাকে হেনস্থা করার বিরুদ্ধেও তারা কঠোর ভাষায় নিন্দা জানান।
“আমাদের মাননীয় কর্মবীর বিধায়ক কারো কোন ক্ষতি করেন না, কিন্তু কয়েকদিন পর পর একটা দালাল এবং দুষ্ট চক্র একটা নোংরা রাজনীতি করছে এর প্রতিবাদে আমরা আজ এখানে এসেছি। বদরপুর-মাছিমপুর, মাছুঘাট তথা বৃহত্তর দুধপাতিলকে শিলচরের সাথে সরাসরি সংযোগের যে সংকল্প মাননীয় বিধায়ক নিয়েছেন সে স্বপ্ন পূরণ হবে। উনি বড়খলার ভূমিপুত্র, উনার স্বপ্ন বড়খলাবাসীর স্বপ্ন। এই ব্রিজ হবে, কোথায় হবে সেটা আমরা এখন বলতে পারব না । বিশেষজ্ঞরা যেখানে বলবে সেখানেই এই ব্রিজ হবে। বিধায়ক যা কিছু করেছেন বা করছেন সবই বড়খলার উন্নয়নের জন্য, এতে যেন কেউ বাধা না দেয়”, কঠোর ভাষায় জানালেন আন্দোলনকারীরা।
আগামীতে এই নিয়ে চাপান-উতোর চলতে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে, বরাকের উপর নতুন সেতুর কাজ যত শীঘ্র সম্ভব হয় ততই মঙ্গল। কারণ এই সেতুর সাথে সাথে শিলচর শহরের প্রসারিত হবার সম্ভাবনার একটা দিক খুলে যাবে। ঠিক শহরের মাঝখানে না হয়ে, শহরতলীর কোন অঞ্চলে এই সেতু হলে যানজটের সম্ভাবনা কম হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
Comments are closed.