Also read in

২০তম কারগিল বিজয় দিবস পালন বিএসএফের

সমগ্র দেশের সঙ্গে বরাক উপত্যকায়ও সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে দিনভর ঠাসা কার্যসূচির মাধমে ২০তম কারগিল বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের গৃহ বিভাগের নির্দেশ অনুসারে সাত দিন ব্যাপী বিজয় দিবস উদযাপনের সূচনা শনিবার হলেও রবিবার বরাক উপত্যকার প্রত্যেকটি সীমান্ত চৌকি সহ সীমান্ত এলাকায় দিনভর ঠাসা কার্যসূচির মাধ্যমে পালন করা হয় বিজয় দিবস।

সকাল দশটায় ০৭ বিএন বিএসএফের আওতায় থাকা লাতু সীমান্ত চৌকিতে স্থানীয় নাগরিক সহ পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আয়োজন করা এক আলোচনা সভা। জবাইনপুর সীমান্ত চৌকির ব্যবস্থাপনায় বাকরশাল নাথুপুর ৪১৫ নং এল পি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় অঙ্কন প্রতিযোগিতার। স্থানীয়দের মধ্যে কারগিল যুদ্ধের তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় করিমগঞ্জ শহরতলীর স্টিমারঘাট চৌকিতে । সাদারাশি সীমান্ত চৌকিতে আয়োজন করা হয় বৃক্ষ রোপন কার্যসূচির।

অন্যদিকে ১৩১ নং বিএন বিএসএফের অধীনে থাকা হরিনগর সীমান্ত চৌকিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী সহ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । উপস্থিত ছিলেন সেখানকার সীমান্ত এলাকার প্রায় শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা। কারগিল যুদ্ধের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর প্রাণ বলিদানের ইতিহাস তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ১৩১ নং বিএন বিএসএফের ডেপুটি কমাডেন্ট জে এস ভাটি । নাথুপর সীমান্ত চৌকির ব্যবস্থাপনায় শোভাযাত্রায় আয়োজন করা হয় পিরনগর সীমান্ত চৌকি অবধি । এতে প্রায় ৬০ জনের বেশি যুবক যুবতীরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন ১৩১ নং ব্যাটালিয়ন কমাডেন্ট রাজেন্দ্রর সিং কার্ডওয়াল সহ আমন্ত্রিত অতিথি কাটিগড়া সমষ্টির বিধায়ক অমর চাঁদ জৈন ।

এছাড়া ১৩৪ নং ব্যাটালিয়নে পালন করা হয় দিনভর বিজয় দিবস । স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় লাটিটিলা সীমান্ত চৌকিতে । প্রাক্তন সেনাকর্মী এবং সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানদের উপস্থিতিতে আদমটিলা সীমান্ত চৌকিতে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার । কারগিল যুদ্ধ নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় ১৩৪ নং বিএন বিএসএফের আওতায় থাকা লক্ষীপুর এবং মহিষাশন সীমান্ত চৌকিতে ।

Comments are closed.