Also read in

করিমগঞ্জে ভারত বাংলা সীমান্তে অভিযুক্ত গরু পাচারকারীদের ওপর বিএসএফের গুলিবর্ষণ , নিহত এক

 

করিমগঞ্জের ফুলকান্দি সীমান্ত থেকে এক চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। ফুলকান্দিতে সীমান্তের ঠিক পাশেই এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএসএফের মুখপাত্র জানান যে তারা সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন এবং এ নিয়ে তদন্ত চলছে। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে অস্বীকার করেন। তিনি এও জানান যে মৃত ব্যক্তি ভারতীয় বা বিদেশী কিনা তা বিএসএফ সঠিকভাবে জানে না।

তবে বিএসএফের উচ্চ স্তরের এক সূত্র আমাদের প্রতিনিধিকে জানান যে একদল গরু পাচারকারী বিএসএফের জওয়ানদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেছিল এবং তারই উত্তর দিতে গিয়ে জওয়ানরা গুলি চালায়। নাম প্রকাশ না করে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা কাঁটাতারের বেড়াটি সিল করে দিয়েছি। আতঙ্কিত হয়ে গরু পাচারকারীরা সীমান্তের ওপার থেকে আমাদের জওয়ানদের হত্যা করার চেষ্টা করে। গতকাল তারা তৃতীয়বারের মতো ওত পাতে। ১১ থেকে ১২ জনের গরু পাচারকারীদের দলটি সীমান্তের কাঁটাতার কেটে ভারতে প্রবেশ করে। তখন ভারতীয় জওয়ানরা তাঁদের ওপর গুলি চালায় এবং এতে একজন নিহত হয়। আমরা কাঁটাতারের বেড়া কাটার যন্ত্র, তরোয়াল, ছুরি এবং আরো অনেক মারাত্মক অস্ত্র উদ্ধার করেছি।”

বিএসএফের কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, সীমান্তের এপারে ভারতের দিকে কিছু স্থানীয় দল রয়েছে যারা বাংলাদেশীদের সঙ্গে গরু পাচার অপরাধে অপরাধী। তারা এখন বিএসএফকে দোষারোপ করে তাদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলছে। কারণ তাদের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে, তাই আমাদের জওয়ানদের তারা টার্গেট করছে” তিনি যোগ করেন।

অন্যদিকে স্থানীয়রা বিএসএফ ও আসাম পুলিশের এ ব্যাপারে অজ্ঞতার অভিযোগ তুলেছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, পুলিশ এবং বিএসএফ উভয়ই ফুটপাতটির সম্পর্কে অবগত, যেখান থেকে সীমান্ত দিয়ে খুব সহজে যাতায়াত করা সম্ভব, যার মাধ্যমে গরু পাচারের মতো অপরাধমূলক ঘটনা বাড়ছে। অথচ তারা কিছুই করে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বিএসএফের মুখপাত্র স্বীকার করেন যে সেখানে একটি ফুটপাত রয়েছে‌। তবে তার বক্তব্য অনুযায়ী এটি সম্প্রতি বেড়া কেটে তৈরি করা হয়েছিল।

স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটি নিজের হাতে তুলে নেয় এবং জানা যায় এ ব্যাপারে তারা তদন্ত চালাবে।এক পুলিশ কনস্টেবল জানান যে তিনি বিএসএফের কমান্ডিং অফিসারের পৌঁছার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কারণ তারপর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। এরপর তারা তাদের তদন্ত শুরু করবে।

গতকাল রাতের অন্ধকারে সত্যি কি ঘটেছিল এখনো তা রহস্যজনক। ঘটনা থেকে যা বোঝা গেল তা হচ্ছে, একটি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সঙ্গে কাঁটাতার কাটার যন্ত্র, কিছু অস্ত্রশস্ত্রও পাওয়া গেছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা কিংবা সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় কিনা তা এখন দেখার বিষয়।

Comments are closed.