Also read in

করিমগঞ্জের নরসিংহ মন্দিরে চুরির ঘটনা; 'মাস্টারমাইন্ড' সেলিম সহ ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তারের পর বন্ধ করে দেওয়া হলো মামলা

১২ এপ্রিল নিলামবাজার পুলিশ থানার অন্তর্গত করিমগঞ্জের বালিয়া এলাকার নরসিংহ মন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা করে। মন্দিরের পুরোহিতকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল, সেই সঙ্গে তার মেয়েকে হয়রানি করা হয়েছিল। দুর্বৃত্তরা মন্দিরে ভাঙচুর করে এবং পুজোর উপকরণের ক্ষতি করে। তারা মন্দিরের দেবতার অলংকারগুলোর মতো দামি জিনিসপত্র, দেবীর অস্ত্র সস্ত্র সহ আরো অনেক জিনিস ছিনিয়ে নিয়েছিল।

এ ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই করিমগঞ্জের এসপি ময়াঙ্ক কুমারের তত্ত্বাবধানে দোষীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়। আজ এসপি এ সম্পর্কে নিশ্চিত করে জানান যে ১৫ দিনেরও বেশি সময়ের প্রচেষ্টায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করার পর এবং মূল্যবান বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধারের পর মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

কুমার জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় জড়িত পাঁচ ডাকাতকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরিকল্পনাটি কার্যকর করতে তারা যে গাড়ি ব্যবহার করেছিল সেই গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। তাছাড়া চুরির ঘটনার তিন ষড়যন্ত্রকারী এবং চুরি যাওয়া সম্পত্তির দুজন গ্রহণকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসপি কুমার জানিয়েছেন, “এই পুরো কর্মকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী অর্থাৎ ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন সেলিম, যাকে আমরা ডিমাপুর থেকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছি।”

উদ্ধারকৃত সামগ্রী গুলির মধ্যে রয়েছে একটি রুপোর মুকুট, একটি রুপোর বাঁশি, একটি রূপার সাপ, একটি রূপার ফুল, দু’টি সোনার কানের দুল, একটি রুপার কাঠি, একটি সোনার মঙ্গলসূত্র, দুটো রূপার আংটি, মোবাইল ফোন এবং একটি ট্যাবলেট ফোন। তাছাড়া রয়েছে দুটো সোনার কানের দুল, একটি রূপার চেইন, একটি রূপার পায়েল, একটি রূপার ব্রেসলেট ও একটি অটো।

যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারা হল মুতলিব আলি, হেলাল উদ্দিন, আতাউর রহমান, আলি হোসেন, মাস্টারমাইন্ড সেলিম উদ্দিন, সুবুর আলি, আইনুল হক, আহাদ উদ্দিন, সালিম উদ্দিন, মকবুবুর রহমান(কালা), রঞ্জু রায় এবং কাবিল।

Comments are closed.