
কোভিড সার্টিফিকেটের নামে রমরমা ব্যবসা চলছে উত্তর করিমগঞ্জে
কোভিড সার্টিফিকেটের নামে রমরমা ব্যবসা চলছে উত্তর করিমগঞ্জ জুড়ে। ডঃ এ কে ভট্টাচার্য নামের এক মুন্নাভাই নেমেছেন অবৈধ ব্যবসায়। সিন্ডিকেটরাজ গড়ে তোলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করে মাত্র দুশ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে কোভিড না থাকার সার্টিফিকেট। যার একমাত্র কারণ হচ্ছে, সোয়াব টেস্টের জন্য যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোন সার্ভিলেন্স দল বাড়িতে আসে তাহলে এই সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়া।
অন্যদিকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সোয়াব টেস্ট শুরু হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। রবিবার এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে উত্তর করিমগঞ্জের দক্ষিণ মানিক গ্রাম থেকে। সোমবার ফকিরাবাজার এবং কলিমা গ্রামে সোয়াব টেস্টের আয়োজন করা হয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। এর ঠিক একদিন আগেই এলাকার গ্রামে গ্রামে গিয়ে উপস্থিত হন অবৈধ চিকিৎসক এ কে ভট্টাচার্য ।এরপর সরাসরি দুশ টাকার বিনিময়ে কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে কোভিড লক্ষণ নেই বলে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। সার্টিফিকেটে জড়িয়ে আছে সাবিত্রী মেডিক্যাল হল লাতু এবং লাকি মেডিসিন সেন্টার ফকিরাবাজার সহ সেটেলমেন্ট বরাক ডায়গনেস্টিক সেন্টারের নাম। তবে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে লাকি মেডিসিন সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী মবরুল চৌধুরী ও বরাক ডায়গনেস্টিকের সত্ত্বাধিকারী বলেন, তাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই হাতুড়ে ডাক্তার এ কে ভট্টাচার্য নামের ব্যক্তির। এসব ডাক্তারের পেড জালিয়াতি করে কলকাতা থেকে প্রিন্ট হয়ে আসে।
উপযুক্ত তদন্ত ক্রমে এ ব্যাপারে বিহিত ব্যবস্থা নিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সহ করিমগঞ্জ জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সচেতন মহল। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নাকের ডগায় হাতুড়ে চিকিৎসকদের রমরমা অবৈধ ব্যবসার প্রতিবাদ শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে । কোভিড সার্টিফিকেটের নাম করে খোলা বাজারে হাজার হাজার টাকার ব্যবসার সিন্ডিকেটে আরও অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার সন্দেহ কিন্তু প্রকট হচ্ছে।
জানা মতে, সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকা এ, কে ভট্টাচার্য নামের চিকিৎসক কোন ধরনের সরকারি বা বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নন। এমন কি নেই তার কোন ব্যক্তিগত চেম্বারের ব্যবস্থা। এম বি বি এস, এসিএএম রেজিস্ট্রেশন নং ০৪৪৮ আবার দেখানো হয়েছে।
এদিকে করোনা পজিটিভ সংখ্যা দিন দিন হু হু করে বাড়ছে,ঠিক সেই মুহূর্তে এসব করোনা সার্টিফিকেট কাণ্ড জনগণকে আরও আতঙ্কময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে । হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্বে জেলা প্রশাসন কি বিহিত ব্যবস্থা নেন সেটাই হচ্ছে এই মুহূর্তে দেখার বিষয় ।
Comments are closed.