বাই বাই চা-ওয়ালা স্বাগতম 'ম্যায় ভি চৌকিদার
গত লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে চা-ওয়ালা হিসেবে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করার প্রত্যুত্তরে চা-ওয়ালা ভাবমূর্তিকেই প্রচারের কাজে লাগিয়েছিল বিজেপি। এবারে নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী “চৌকিদার চোর হ্যায়” স্লোগানকে প্রায় প্রত্যেক জনসভায় স্লোগান হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন।রাফাল চুক্তিতে মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই শ্লোগান সামনে এনেছিলেন রাহুল। কংগ্রেস সভাপতির এই স্লোগানকেই এবার হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি দল।
কংগ্ৰেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে প্ৰত্যুত্তর দিতে প্ৰধানমন্ত্ৰী থেকে শুরু করে বিজেপি কৰ্মীরা নিজের টুইটার হেণ্ডেলে আজ নামের আগে ব্যবহার করছেন ‘চৌকিদার’ টেগলাইন। নিমেষে দেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে আরম্ভ হয়েছে ধুন্ধুমার।
সোশ্যাল মিডিয়াতে হঠাৎ চৌকিদারকে নিয়ে শুরু হয়েছে শত শত পোস্ট। সমগ্র দেশের সাথে বরাক উপত্যকায়ও বিজেপি সমর্থকরা ফেসবুকে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ পোস্ট দিয়ে চলেছেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যে এই বক্তব্য নিয়ে প্রোফাইল পিকচারও বানিয়ে ফেলেছেন। সর্বোপরি এবারের নির্বাচনে চায়-পে-চর্চা না হয়ে চৌকিদার পে চর্চা হতে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর পিছু পিছু টুইটারে বিজেপি নেতাদেরও চৌকিদার হওয়া শুরু হয়েছে।বিজেপির যেসব শীর্ষস্থানীয় নেতারা নামের আগে চৌকিদার লাগিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
টুইটার হ্যান্ডেলে নিজের নামের আগে চৌকিদার লিখতে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
একদিন আগেই শুরু হয়েছে ম্যায় ভি চৌকিদার প্রচার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে নামের আগে চৌকিদার সংযোজন করেছেন। এবার তাঁকে অনুসরণ করে অন্যরাও অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন এই সংযোজনের পালায়।
শনিবার এই প্রচার শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ”আপনাদের চৌকিদার সিধা দাঁড়িয়ে আছে এবং জাতির সেবা করছে। কিন্তু আমি একা নই। যারাই দুর্নীতি, সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁরা সকলেই চৌকিদার। ভারতের প্রগতির জন্য যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করছেন, তাঁরা সকলেই চৌকিদার। আজ সব ভারতীয় বলছে #ম্যাঁয়ভিচৌকিদার।”
নামের আগে চৌকিদার লাগিয়ে পীযুষ গোয়েল লিখছেন, “জাতির চৌকিদার হিসেবে আমরা নগদহীন আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে স্বচ্ছ অর্থনীতি তৈরির ব্যাপারে দায়বদ্ধ। দুর্নীতি এবং কালো টাকা দশকের পর দশক ধরে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য একে নির্মূল করার সময় এসেছে।“
প্রধানমন্ত্রীর চৌকিদার ভাবমূর্তি নিয়ে কংগ্রেস বেনজির আক্রমণ শুরু করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
নির্বাচনী ফলাফলে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ শ্লোগান কতটা প্রভাবিত করে তা এক রসালো আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Comments are closed.