Also read in

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত: দশম শ্রেণী পর্যন্ত অসমীয়া বাধ্যতামূলক, খিলঞ্জীয়ারাই শুধু অসমে জমি কিনতে পারবে

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমনে সচেষ্ট হল রাজ্য সরকার । রাজ্য কেবিনেটের আজকের বৈঠকে গৃহীত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানালেন অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো ভাষা এবং জমি নিয়ে । অসমীয়া ভাষাকে আসামের রাজ্য ভাষা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে। দশম শ্রেণী পর্যন্ত সকল মাধ্যমেই অসমীয়া ভাষা বাধ্যতামূলক হবে; তবে, বরাক উপত্যকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং বিটিএডি এলাকায় সহযোগী ভাষা হিসেবে থাকবে অসমীয়া। বিধানসভার আগামী অধিবেশনেই এই প্রস্তাব পেশ করা হবে।

অসমের খিলঞ্জীয়া দের জন্য ‘খিলঞ্জীয়া ভূমি অধিকার আইন” প্রণয়ন করা হবে। এই আইনের ফলে খিলঞ্জীয়ার জায়গা-জমি খিলঞ্জীয়ারাই শুধু কিনতে পারবে। অসমের বাইরের কেউ বা অ-খিলঞ্জীয়ারা অসমে জমি কিনতে পারবে না। এই নতুন আইনের ফলে সত্রের জমি বিক্রি করা যাবে না।

এটিসি চা শ্রমিকদের অর্থাৎ ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় চা শ্রমিকদের মজুরি ১২৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে থেকে ১৬৭ টাকা করা হবে। বরাক উপত্যকায় চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১১৫ টাকা থেকে ১৪৫ টাকায় বৃদ্ধি করা হবে। চা জনগোষ্ঠীর জন্য চা বাগান এলাকায় একশটি নতুন স্কুল স্থাপন করা হবে, তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। সাধারণ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে চা-জনজাতি এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে।

Press Meet

Press meet

Posted by Himanta Biswa Sarma on Saturday, December 21, 2019

কোচ রাজবংশী সম্প্রদায়ের জন্য অবিভক্ত গোয়ালপাড়া জেলায় কামতাপুর স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ গঠন করা হবে।

মরান, মটক অধ্যুষিত এলাকায় দুটি নতুন স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ গঠন করা হবে। বিধানসভার আগামী ফেব্রুয়ারি ভাষণে এই আইন প্রণয়ন করা হবে এবং মে মাসের মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ গঠন করা হবে। মরান, মটক এবং চুতিয়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।

তাই-আহোম জনগোষ্ঠী, চুতিয়া এবং কোচ রাজবংশী উন্নয়ন পরিষদ নতুনভাবে পুনর্গঠন করা হবে।

৭ ই বৈশাখ সতী সাধনী দিবস রাজ্যিক ছুটির দিন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সতী সাধীনির নামে নতুন এক রাজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। নতুন একটি জেলা গঠন করা হবে বজালি।

আজকের এই গুচ্ছসিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া কি হয, সেটা বেশ কৌতূহল উদ্রেক করেছে বিভিন্ন মহলে।

Comments are closed.