Also read in

বরাক-ব্রহ্মপুত্রের মৈত্রী ফেরাতে 'জ‍্যোতি দিবসকে' বিশেষ গুরুত্ব বিজেপির, আবেগিক কবীন্দ্র পুরকায়স্থ

জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার স্মৃতির উদ্দেশ্যে অসম সাহিত্য সভা সহ বিভিন্ন সংগঠন সারা রাজ্যে প্রত্যেক বছর ‘জ্যোতি দিবস’ পালন করে। তবে বরাক উপত্যকায় দিনটি আগে তেমনভাবে পালিত হতোনা। এবার অসম সাহিত্য সভার পাশাপাশি বরাক উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলোও দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালন করলো। কাছাড় জেলা বিজেপির কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার স্মৃতিচারণ সহ বিভিন্ন শিল্পীদের সংবর্ধনা দেওয়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দিনটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা বিজেপির তরফে বরাকের তিন ‌বিশিষ্ট শিল্পী, বাঁশি বাদক সৌমেন পালচৌধুরী, গিটার বাদক দিলীপ সিনহা এবং গায়ক নিপু শর্মাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে আবেগিক হয়ে পড়েন বিজেপির বরিষ্ঠতম নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ। গান শুনতে শুনতে একসময় তার চোখ ছলছল করে ওঠে। অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে তিনি দুই উপত্যকার মানুষের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করেন এবং সবাইকে আহবান করেন একে অন্যের বিরুদ্ধে না দাঁড়াতে।

এদিনের সভায় বিজেপির জেলা কমিটির তরফে নিত্যভূষণ দে, পার্থসারথি চন্দ, কণাদ পুরকায়স্থ, প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, দীপায়ন চক্রবর্তী, পুরসদস্য রাজেশ কুমার দাস, গোপাল রায় সহ অন্যান্যরা অংশ নেন। তবে এদিন কোন বিধায়ক বা জনপ্রতিনিধিকে এতে দেখা যায়নি।

অসমের সাহিত্য ও শিল্পচর্চায় জ্যোতিপ্রকাশ আগরওয়ালের নাম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রাজ্যের বিখ্যাত গীতিকার, নাট্যকার, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন। তিনি অসমিয়া ভাষায় কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, সমালোচনা ও শিশুসাহিত্য রচনা করে অসমিয়া সাহিত্যে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রথম অসমীয়া চলচ্চিত্র ‘সতী জয়মতী’ নির্মাণ করেছিলেন। এই অবদানের জন্য জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালাকে বিভিন্ন সম্মান ও উপাধি দেওয়া হয়। তার স্মরণে মূলত অসম সাহিত্য সভা দিনটিকে সারা রাজ্যে অসমিয়া সংস্কৃতির উদযাপন হিসেবে পালন করে। এবার দিনটিকে শিলচরে মুখ্যভাবে পালন করা হচ্ছে। তার অন্যতম কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে বরাক এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মানুষের মধ্যে সমন্বয় ফিরিয়ে আনা।

Comments are closed.