Also read in

শিলচরের হোটেলে কাছাড় বিজেপির বিশাল সভা; মন্ত্রী অশোক সিঙ্ঘলের নেতৃত্বে সীমানা পুনঃনির্ধারণ কমিটিকে "বাঙালি বিরোধী" আখ্যা

সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে শিলচরের একটি হোটেলে বিজেপি একটি বিশাল সভা করল আজ। শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়, বিজেপি কাছাড় জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়, শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী সহ ৫০০ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মী এই সভায় যোগ দেন।

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মিটিং হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, কারণ এটি “সংশ্লিষ্টদের মধ্যে একটি ঘরোয়া বৈঠক”। বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি সূত্র জানিয়েছে যে, নেতারা নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) সীমানা পুনঃনির্ধারণের এই প্রস্তাবে তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন; দলের নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধভাবে এর নিন্দা করেছেন এবং প্রক্রিয়াটি নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দাঁড় করিয়েছেন।

কিছু নেতা মন্ত্রী অশোক সিঙ্ঘলের সভাপতিত্বে সীমানা নির্ধারণ কমিটিকে বাঙালি বিরোধী বলে অভিহিত করেন। “আসামের ৭৫ লাখ বাঙালি জনসংখ্যা এবং ৬৪ লাখ ভোটার থাকা সত্ত্বেও কেন অশোক সিঙ্ঘলের সভাপতিত্বে গঠিত ডি-লিমিটেশন কমিটিতে কোনো বাঙালি প্রতিনিধিত্ব ছিল না। আসামের ৫০ লাখেরও বেশি বাঙালি ভোটার বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন এবং তবুও বাঙালি জনগোষ্ঠীর স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে।” বলেছেন রাজ্য বিজেপির সদস্য হেমাঙ্গ শেখর দাস৷

দাস যোগ করেছেন, “বর্তমানের ক্ষমতাসীনরা আসামে বিজেপির শিকড় ভুলে গেছে। হিন্দু বাঙালিদের হাত ধরেই বিজেপির এই রাজ্যে শ্রী বৃদ্ধি ঘটেছিল। শিলচর লোকসভা আসন সংরক্ষিত করার এবং করিমগঞ্জ সংরক্ষণ মুক্ত করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আমরা বিপুল প্রতিবাদ শুরু করব ।”

সভায় দলীয় কর্মী ও নেতারা লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রায়ের ভূমিকার বিরুদ্ধে তাদের অনুভূতির ব্যক্ত করেন। বৈঠকে অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে, কৌশিক রায় ছিলেন বরাক উপত্যকার কণ্ঠস্বর কিন্তু তিনি বরাক উপত্যকার বাঙালি অনুভূতির বিরুদ্ধে কাজ করছেন।

সভা শেষ হওয়ার পরে, রাজদীপ রায়ের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য প্রেস সদস্যরা তাকে প্রশ্ন করতে থাকেন । কিন্তু শিলচরের সাংসদ বলেন, “কোন মন্তব্য নেই” এবং “জয় শ্রী রাম” ধ্বনি দিয়ে সাংবাদিকদের সামনা দিয়ে বেরিয়ে যান।

Comments are closed.