Also read in

এবার এলো ভোট-জি অ্যাপ, যুব সমাজকে ভোটদানে আকৃষ্ট করতে প্রশাসনের অনন্য উদ্যোগ

পৃথিবীর সবথেকে জনপ্রিয় ভিডিও গেম পাব-জি ভারতবর্ষে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সেই ছন্দ মিলিয়ে ভারতীয় একটি কোম্পানি নতুন গেম ফৌ-জি লঞ্চ করেছিল। ভোট দাতাদের আকৃষ্ট করতে কাছাড় জেলা প্রশাসন নানান উদ্যোগ নিচ্ছে। যেহেতু যুবসমাজে ভিডিও গেম অত্যন্ত জনপ্রিয়, প্রশাসনের উদ্যোগে একটি গেম বানানো হয়েছে, নাম দেওয়া হয়েছে ভোট-জি। এখানেই শেষ নয় যারা গেম খেলবেন তাদের পয়েন্ট দেওয়া হবে, সঙ্গে থাকবে কুইজ সহ নানান পদ্ধতি যার মাধ্যমে অতিরিক্ত পয়েন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব। নির্বাচনের পর যাচাই করে দেখা হবে কারা বেশি পয়েন্ট পেয়েছেন এবং এর মধ্যে প্রথম ১০ জনকে বিশেষ সম্মান জানাবে প্রশাসন, সঙ্গে থাকবে আর্থিক পুরস্কার।

শুক্রবার সকালে জেলাশাসক কীর্তি জাল্লি ভোট-জি গেম অ্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা করেন। তার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইএএস বিভোর আগরওয়াল এবং বেশকিছু প্রথমবারের ভোটদাতা।

বিভোর আগারওয়াল ভিডিও ডেমনস্ট্রেশনের মাধ্যমে অ্যাপ ডাউনলোড থেকে শুরু করে ব্যবহারের পদ্ধতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “পুরোপুরিভাবে কাছাড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অ্যাপটি বানানো হয়েছে, এতে রয়েছে জেলার কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন। গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে যে কেউ এটা ডাউনলোড করতে পারেন, এরপর নিজের নাম এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করবেন এবং ইউজার হিসেবে অ্যাপটি ব্যবহার করবেন। গেম ছাড়াও রয়েছে কুইজ সহ অন্যান্য সেগমেন্টস। সবক্ষেত্রেই অতিরিক্ত পয়েন্ট সংগ্রহ করার সুবিধা রয়েছে। আমরা নির্বাচনের পর সবথেকে বেশি পয়েন্ট সংগ্রহ করা ১০ জন ব্যক্তিকে সম্মান জানাবো। এছাড়া থাকবে তাদের জন্য নগদ পুরস্কার।”

কীর্তি জাল্লি বলেন, “আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি যারা প্রথমবার ভোট দেবে তাদের ভোটদানের আকৃষ্ট করতে। সম্প্রতি ৮ কিলোমিটার লম্বা আলপনা গড়ে তোলার উদ্যোগ যুবসমাজকে অত্যন্ত আকৃষ্ট করেছে। অনেকেই এটি বানানোর উদ্দেশ্য জানতে চেয়েছেন এবং ভোটদানের বিষয়ে সচেতন হয়েছেন। যেহেতু ভিডিও গেম যুবসমাজের মনের খুব কাছের একটা ব্যাপার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একটি গেম বানাব। আমাদের তথ্য অনুযায়ী ভারতবর্ষের এই প্রথম ভোট দাতাদের আকৃষ্ট করতে ভিডিও গেম বানানো হয়েছে। গেমে যেগুলো আইকন রয়েছে তার সঙ্গে কাছাড় জেলার ইতিহাস, মানুষের জীবন শৈলী এবং সংস্কৃতির সম্পর্ক রাখা হয়েছে। রয়েছে বাঙালি মনিপুরী ডিমাসা ইত্যাদি সংস্কৃতির নিদর্শন, আবার হিন্দু-মুসলমান ধর্মীয় সমন্বয় বার্তাও।”

জেলাশাসক জানিয়েছেন, কাছাড় জেলায় এবার নতুন ভোটদাতা হচ্ছেন ৩৫৮৯৪জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটদাতা ১৮ হাজার এবং মহিলা ভোটদাতা হচ্ছেন ১৭ হাজার ৮৯৪ জন। ইতিমধ্যে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং জেলার সাতটি আসনে মোট ৬১ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রায় পাঁচ হাজার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বাড়িতে থেকে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দান করবেন। ৮০টি দল গঠন করা হয়েছে যারা ভিডিওগ্রাফি এবং জিপিএস সুবিধার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করবে। ২২ থেকে ২৭ মার্চের মধ্যে ব্যালট ভোট সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া জেলার বাইরে থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার লোক পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দান করবেন। তারা ইতিমধ্যে নাম রেজিস্টার করিয়েছেন।

Comments are closed.

error: Content is protected !!