Also read in

কাছাড় ডিএফও'কে হুমকি দিয়ে থামিয়ে দিলো মিজোরামের সশস্ত্র বাহিনী; "ওরা আমাদের বনাঞ্চলে পেট্রোলিং পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না," সানি দেও চৌধুরী

ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার, কাছাড় সানি দেও চৌধুরী জেলার বন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে গতকাল কুলিছড়া বনাঞ্চল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাকে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মিজোরামের ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানেরা থামিয়ে দেয়।

“১০ দিন আগেও বনাঞ্চলের ঐ এলাকা আমরা রুটিন পরিদর্শন করেছিলাম, কিন্তু আজ ওরা আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। ওরা দাবি করছে এটা মিজোরামের এলাকা”, বলেন সানি দেও চৌধুরী, ডিএফও, কাছাড়। এই এলাকাটি ধলাই এর হাওয়াইথাং ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাধীন। এই এলাকাতেই কয়েকদিন আগে আসাম সরকার পরিচালিত একটি স্কুলে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

“আমরা এখানে উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য যাইনি। উভয় সরকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে, তাই এটা আমার পরিদর্শনের উদ্দেশ্য নয়। আমরা বন বিভাগের তরফ থেকে রুটিন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম এবং ১০ দিন আগেও একই ভাবে পরিদর্শন করেছিলাম। বনাঞ্চলে যদি কোনো ধরনের অঘটন ঘটে, তাহলে এর দায়িত্ব কে নেবে ? আজকের এই আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত বাহিনী দেখে আমরা অবাক হয়ে গেছি,” জানালেন চৌধুরী।

ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের আধিকারিককে শুধু থামিয়ে দেওয়া হয়নি, তাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পুরো পরিদর্শনের ঘটনাটি কাছাড় ফরেস্ট বিভাগ থেকে রেকর্ড করে রাখা হয়েছে। বরাক বুলেটিন ঐ ভিডিও গুলো পর্যালোচনা করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, ইউনিফর্ম পরা তরুণেরা আধুনিক রাইফেল কাঁধে নিয়ে আধিকারিককে বলছে, “গো ব্যাক, ফিরে যাও”‌ । তাদের আচার-আচরণে স্পষ্টতই উদ্ধত্য ফুটে উঠেছে।

 

 

“সাধারণত সরকারি আধিকারিকরা, পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে না। আমার সন্দেহ হচ্ছে ঐ ব্যাটেলিয়ানে বাইরের লোক ও থাকতে পারে”, জানিয়েছেন চৌধুরী।

ডিএফও সানি দেও চৌধুরী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ” বনবিভাগের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পেট্রোলিং চালিয়ে যাওয়া হবে। আমরা ঐ স্থানে আজ আবার যাবো এবং কি পরিস্থিতি ঘটে তা পর্যবেক্ষণ করব। আমি আবার বলছি আমার এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বনাঞ্চল সুরক্ষিত রাখা এবং এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য”।

Comments are closed.