Also read in

কাটিগড়ায় পরিবহন বিভাগের অভিযানে চারদিনে আটক ৫০টির বেশি গাড়ি, জরিমানায় সংগ্রহ ৩ লক্ষ টাকা

পরপর দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় কালাইন-লক্ষ্মীপুর এলাকায় সাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে এলাকাবাসীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, তারা বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এলাকায় চলাচলকারী যানবাহনগুলোর কাগজপত্র পরীক্ষার অভিযান চালায় পরিবহন বিভাগ, এতে সাহায্য করে পুলিশ। সোমবার থেকে চলা অভিযানে অন্তত ৫০টি যানবাহনের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলো পরিবহন বিভাগের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। চারদিনে তিন লক্ষের বেশি জরিমানা সংগ্রহ হয়েছে।

বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকায় চলাচলকারী যানবাহনগুলোর নথিপত্র পর্যাপ্ত রয়েছে কিনা এটা দেখার পাশাপাশি তারা কতটুকু নিয়ম মেনে চলাফেরা করছে সেটাও দেখা হয়। এতেই আটক হয়েছেন অনেক চালক এবং তাদের ভালো করে বুঝিয়ে বলা হয়েছে যাতে আগামীতে নিয়ম লঙ্ঘন না হয়। প্রথমদিকে কালাইন-কাটিগড়া এলাকায় অভিযান চালালেও আগামীতে জেলার অন্যান্য এলাকায় একই ধরনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে পরিবহন বিভাগের।

বদরপুর এনসি কলেজের পাঁচ পড়ুয়া কাটিগড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর জেলাশাসকের কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন, জেলাশাসক কীর্তি জল্লি, জেলা পরিবহন বিভাগের আধিকারিক সহ অন্যান্যরা এতে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জেলায় চলাচলকারী যানবাহনগুলোর কাগজপত্র পরীক্ষা করা হবে, যাদের কাছে নথিপত্র থাকবে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলাশাসকের নির্দেশে সোমবার থেকে কাটিগড়া অভিযানটি শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সার্কেল অফিসার প্রiঞ্জিত দেব। এনফোর্সমেন্ট ইন্সপেক্টর, ওম প্রকাশ উপাধ্যায়, সহকারি এনফোর্সমেন্ট ইন্সপেক্টর, পি টেরং, এম সিনহা, বলবীর সিং এবং কাটিগড়ার ওসি এইচ সিংহও এই অভিযানে অংশ নেন। মোটরযান আইন লঙ্ঘনের জন্য পরিবহন বিভাগ দ্বারা প্রায় ৫০টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। জরিমানার মাধ্যমে তিন লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সড়কের পাশে গজিয়ে ওঠা জঙ্গলগুলি পরিষ্কার করা হয়, এতে সাহায্য করেন পূর্ত এবং পরিবহন বিভাগের কর্মীরা।

জেলা পরিবহন বিভাগের ডিটিও অংশুমান বিশ্বাস বলেন, “এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং সর্তকতা গড়ে তোলা। পরিবহন আইন লঙ্ঘনের জন্য যদিও আমরা জরিমানা চাপিয়ে দিচ্ছি তবে এতেই শেষ নয়। নিয়ম ভেঙে জরিমানা দিলেই অপরাধমুক্ত হলেন না কেউ, আমরা চাইছি প্রত্যেকেই যাতে যানবাহন চালাতে গিয়ে সচেতন থাকেন। অন্তত নিজের সুরক্ষার কথা ভেবে তার সাবধানে গাড়ি চালানো উচিত। এধরনের অভিযান আগামীতে জেলার অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এছাড়াও বেশ কিছু বিষয়ে আগামীতে কঠোর মনোভাব নিয়ে কাজ করবে জেলা প্রশাসন।”

উল্লেখ্য, পরপর কয়েকটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় জেলায় চলাচলকারী প্রত্যেক যানবাহনের উপর কঠোর নজরদারির জোরালো দাবি তুলেছিল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। একই সুরে জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দাবিটি উত্থাপন করেছিলেন।

Comments are closed.