![](https://barakbulletin.com/wp-content/uploads/2021/10/WhatsApp-Image-2021-10-05-at-8.35.41-PM-750x430.jpeg)
বিষাক্ত কিং কোবরা সাপকে ধরে খেলা করতে গিয়ে ছোবল খেয়ে মৃত্যু রঘুনন্দনের
৬০ বছর বয়সী রঘুনন্দন ভূমিজ আর নেই। ধলাইয়ের রাজনগর জিপির বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা কিং কোবরা সাপের কামড়ে মারা যান। রবিবার বিকেলে ভূমিজ একটি কিং কোবরাকে দেখতে পান এবং তা ধরতে ছুটে আসেন। বিষাক্ত প্রজাতির এই সরীসৃপ ধানের ক্ষেতে ছিল এবং স্থানীয়রা জানায় যে এটি ভূমিজের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার অনেক চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি।
ভূমিজ সাপটিকে তার ঘাড়ে নিয়ে চেপে ধরে গ্রামে ঘুরে বেড়াতে থাকে। মানুষের নজর এড়ানোর জন্য সাপটি অনেক চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনায় এলাকায় ভিড় জমতে শুরু করে, স্থানীয়রা ভিডিও করতে শুরু করে এবং ভূমিজ সাপের সাথে নাচতে থাকেন। তিনি সাপের মাথায় আলতো চাপ দিচ্ছিলেন, বারবার খোঁচা দিয়ে বিরক্ত করছিলেন। সাপটিকে জোরে ধরে রেখে তিনি এসব করছিলেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সাপটি সুযোগ বুঝে ভূমিজকে ছোবল দিয়ে দেয়, কারণ এছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না। স্থানীয়রা বরাক বুলেটিনের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানায়, লোকটি ব্যাপারটাকে খুব হালকাভাবে নিচ্ছিলেন। গ্রামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে ওঝা জাদুকরী শক্তি দিয়ে তাকে নিরাময় করতে পারে।”
কাছাড় জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, তেজাস মারিস্বামী নিশ্চিত করেছেন যে, সাপটি আসলে একটি কিং কোবরাই ছিল। ডিএফও বলেন, “ধানক্ষেত কোবরাদের জন্য একটি ভাল আবাসস্থল”। তিনি আরও বলেন,”আমরা জনগণকে সাপ ইত্যাদি না ধরার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি, এটি শুধু এই ক্ষেত্রে বিপজ্জনক নয় বরং এটি বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের অধীনে ও একটি অপরাধ। । ”
.
অধ্যাপক পার্থঙ্কর চৌধুরী, ইকোলজি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, আসাম ইউনিভার্সিটি শিলচর, বলেন “আজ অবধি, সারা দেশে, কিং কোবরার কামড়ে মাত্র ৩-৪ জন মারা গেছেন। উত্তর-পূর্বে কিং কোবরার কামড়ানোর এটাই প্রথম ঘটনা হতে পারে।”
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লোকটিকে কামড়ানোর পর বন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, বন কর্মকর্তারা সাপটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেন।
Comments are closed.