Also read in

পাচগ্রাম কাগজকল কর্মীর কর্তব্যরত অবস্থায় হৃদরোগে ম্রত্যু; আর্থিক দৈন্যতার অভিযোগে সহকর্মীদের ধর্না

নুরউদ্দিন মজুমদার নামে এক কাগজকল কর্মী আজ সকালে কাগজ কলে কর্তব্যরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নুরউদ্দিন মজুমদার উত্তর কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা এবং তিনি চালক হিসেবে কাগজ কলে নিযুক্ত ছিলেন। নূরউদ্দিনের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী আমাদের জানান যে গত ১৮ মাস থেকে বেতন না পেয়ে তিনি তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছিলেন।

তার মৃত্যুর পর কাগজ কল কর্মীরা মিলের ভিতরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। নূরউদ্দিনের দেহ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয় এবং ইউনিয়ন নেতারা বিক্ষোভ দেখান, তাদের অভিযোগ আর্থিক দৈন্যতার জন্যই তার এই মৃত্যু এবং এর জন্য কর্তৃপক্ষই দায়ী। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে যে স্থানীয় এম,এল,এ’র উপস্থিতিতে তার মৃতদেহ সদ্গতির জন্য উত্তর কাঞ্চনপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জাগী রোড ও পাঁচগ্রাম কাগজ কলের কর্মচারীরা গত ১৮ মাস ধরে তাদের বেতন পাননি। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কর্মচারীদের অনেক আশ্বাস দেন কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিগুলি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। রাষ্ট্রপতি কোবিন্দও বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন, কিন্তু মিলের কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের এই অসহায়তা থেকে অব্যাহতির জন্য কোন হস্তক্ষেপই যথেষ্ট নয় বলে মনে হয়।

 

Posted by Tayeb Ahmed Khan on Thursday, March 8, 2018

 

হিন্দুস্তান পেপার কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ প্রাপ্ত আধিকারিক বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চের মধ্যে কাগজকল কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন দেওয়া হবে এবং এর পর তারা কর্তৃপক্ষ কিস্তিতে বকেয়া বেতন প্রদান করবে।

 

Family members of Paper Mill Employees talking about mass suicide

 

কর্তৃপক্ষ এই সমস্যাটির সমাধান অনতিবিলম্বে করুন এটা সকলেই কামনা করছেন এবং তা হলে কর্মীরা কিছুটা হলেও আর্থিক চাপমুক্ত হতে পারবেন। কয়েকদিন আগে নওগাঁ কাগজ কলের কর্মচারী ইনামুদ্দিন একটি টেলিকম টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, আজ সামাজিক মিডিয়ায় মিল কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এমনকি গণ-আত্মহত্যার বিষয়েও কথা বলছেন … । এই মুহূর্তে সরকার এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া না হলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে যা মোটেই কাম্য নয়।

 

Comments are closed.